ভুয়া জন্মসনদে বাল্যবিবাহের চেষ্টা, পরে পণ্ড
জন্ম ২০০৫ সালে। বয়স প্রায় ১৫ বছর। কিন্তু ভুয়া জন্মনিবন্ধনের সনদ বানিয়ে ওই কিশোরীকে বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগে নেন তার অভিভাবকেরা। আজ সোমবার বিয়ের আয়োজনও করা হয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওই বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন। এ ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে।
পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীর জন্ম ২০০৫ সালে। কিন্তু তার অভিভাবকেরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে জন্মনিবন্ধনের একটি ভুয়া সনদ বানান। তার জন্মতারিখ দেখানো হয় ১৯৯৯ সালের ১৫ জানুয়ারি। তাকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে কচুয়া উপজেলার এক যুবকের সঙ্গে আজ বিকেলে বিয়ের আয়োজন করেন পরিবারের সদস্যরা। বরকে যৌতুক হিসেবে ৫০ হাজার টাকার একটি গাভি দেওয়ার কথা ছিল।
গোপন সূত্রে এই বাল্যবিবাহের খবর পায় মতলব দক্ষিণ থানা-পুলিশ। পরে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইকবাল হোসেন ও সবুজ সিংহ ঘটনাস্থলে যান। কিশোরীর পরিবার ভুয়া জন্মনিবন্ধনের সনদ দেখায়। তবে সনদ নিয়ে সন্দেহ হলে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার আইচকে জানান। পরে ওসি নারায়ণপুর ইউপির চেয়ারম্যান জহিরুল মোস্তফা তালুকদারকে ফোন করে ভুয়া সনদের কথা জানতে পারেন।
ইউএনও ফাহমিদা হক বলেন, বাল্যবিবাহের আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন তার মা–বাবা। অতিথিদের জন্য আনা খাবার স্থানীয় একটি দরগাহ শরিফে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।