ভাসানচর পরিদর্শনে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি। আজ মঙ্গলবার ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শনে এসে সেখানকার রোহিঙ্গাদের আলাপকালে তিনি এ আশ্বাস দিয়েছেন।
ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুর ১২টার দিকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির নেতৃত্বে সংস্থার একটি প্রতিনিধিদল ভাসানচর আসে।
প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন সংস্থার দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ইন্ড্রিকা রাটওয়াট, বাংলাদেশ প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডের ক্লাউ প্রমুখ। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিল।
সূত্র জানায়, জাতিসংঘের হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিভিন্ন ক্লাস্টার ঘুরে ঘুরে দেখেন। তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সুযোগ-সুবিধার খোঁজখবর নেন। তিনি এ সময় ভাসানচরে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের তরফ থেকে আরও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েছেন।
ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা জানান, ভাসানচরকে ঘিরে সরকারের এমন পরিপাটি ব্যবস্থা দেখে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিকেল চারটায় প্রতিনিধিদলটি ভাসানচর ত্যাগ করে।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলে শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডিসহ মোট সাতজন প্রতিনিধি ছিলেন। এ ছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও একটি প্রতিনিধিদল তাঁদের সঙ্গে ভাসানচরে আসে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ফলে প্রায় সাড়ে আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে বিভিন্ন সময়ে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা এসে কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় আশ্রয় নেয়। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের চাপ সামলাতে সরকার এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়। ওই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ১১৬ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।