ভাঙ্গার ইউএনওর গুলিবর্ষণের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন ডিসির কাছে

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স
প্রথম আলো

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুর রহমান খানের গুলিবর্ষণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার এ ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) দীপক কুমার রায়কে আহ্বায়ক করে গতকাল সোমবার রাতে এক সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটি আজ মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তকাজ সম্পন্ন করে বিকেলে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে।

কমিটির একমাত্র সদস্য ফরিদপুরের এডিএম দীপক কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, আজ তিনি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তিনি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ইউএনও নিজের কেনা শটগান পরীক্ষার জন্য ‘টেস্টিং’ গুলি ছুড়ে আইন লঙ্ঘন করেননি। তবে যে সময় তিনি কাজটি করেছেন, সেটি যথাযথ হয়নি।

গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভাঙ্গার ইউএনওর সরকারি বাসভবন এলাকা থেকে পরপর চারটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এ শব্দে এলাকাবাসীর মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী ঘটনাটি পুলিশকে জানালে পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুর রহমান বলেন, ইউএনও তাঁর ব্যক্তিগত শটগান থেকে গত রোববার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে চারটি ফাঁকা গুলি করার ঘটনায় পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। ওই জিডির ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করেছে এবং ইউএনওর গুলি ছোড়ার ঘটনার সত্যতা পেয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিজেই নিশ্চিত করে ভাঙ্গার ইউএনও রকিবুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, দুই দিন আগে তিনি ঢাকার একটি অস্ত্রের দোকান থেকে শটগানটি কিনেছিলেন। কিন্তু ওই দোকানে সেটি পরীক্ষা করার জায়গা না থাকায় কেনার সময় পরখ করা হয়নি। এ জন্য তিনি নিজে গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর সরকারি ভবনের পুকুরের দিকে চারটি ‘টেস্টিং ফায়ার’ করেন। তিনি বলেন, এ ফায়ার করে তিনি আইনের কোনো বরখেলাপ করেননি।

আরও পড়ুন

গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভাঙ্গার ইউএনওর সরকারি বাসভবন এলাকা থেকে পরপর চারটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এ শব্দে এলাকাবাসীর মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী ঘটনাটি পুলিশকে জানালে পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

ভাঙ্গা থানার এসআই শওকত হোসেন বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউএনর বাড়ির নিরাপত্তায় নিয়োজিত অস্ত্রধারী আনসার সদস্য মো. আমিনুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, ইউএনও দুদিন আগে নিজের কেনা শটগান থেকে বাড়ির পুকুরপাড়ে গিয়ে পুকুরের পানিতে চারটি গুলি ছোড়েন সেটি পরীক্ষা করার জন্য। এ ব্যাপারে রোববার রাতেই ভাঙ্গা থানায় তিনি নিজে বাদী হয়ে একটি জিডি করেন।