ভাঙা সড়ক, গাড়িতেই তিন সন্তান প্রসব
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর গৃহবধূ সুমি আকতার (২৫)। শুক্রবার সকালে হঠাৎ প্রসবব্যথা শুরু হয় তাঁর। এরপর সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে রওনা হন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পথে। কিন্তু ভাঙা সড়কের কারণে গাড়ি চলতে গিয়ে শুরু হয় তীব্র ঝাঁকুনি। একদিকে প্রসবব্যথা, অন্যদিকে গাড়ির ঝাঁকুনির মাঝে পড়ে চিৎকার করতে থাকেন সুমি আকতার। একপর্যায়ে সঙ্গে থাকা ধাত্রীর সহযোগিতায় তিনটি ছেলেসন্তান প্রসব করেন তিনি। তবে দ্বিতীয় সন্তানটি মারা যায়।
সুমি আকতারের বাড়ি উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের বড়ছড়া পশ্চিমপাড়ায়। তাঁর স্বামীর নাম মোহাম্মদ ইউনুছ।
ওই গৃহবধূর বড় ভাই মোহাম্মদ সোহেল বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে বড় মহেশখালী ইউনিয়নে বড় ডেইল এলাকায় পৌঁছালে অটোরিকশায় তাঁর বোন তিন সন্তান প্রসব করেন। তবে গাড়িতে প্রসব করার সময় ভাঙা সড়কের ঝাঁকুনিতে দ্বিতীয় সন্তানটি মারা যায়। সোহেল বলেন, সড়কের ঝাঁকুনিতে বোনের যন্ত্রণা দেখে তিনি দুই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। তাঁর বোন ও দুই সন্তান সুস্থ আছেন।
এলাকাবাসী জানান, দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর সড়কপথে যাতায়াতের প্রধান সড়ক গোরকঘাটা-জনতাবাজার ২৭ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙা। এর মধ্যে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড়বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই ভাঙা সড়কের ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে অনেক সময় বড় বড় গর্তে ওপর দিয়ে গাড়ি যাতায়াত করতে গিয়ে বিকল হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এরপরও বিকল্প পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ঝুঁকি নিয়ে ওই সড়কপথ দিয়ে যাতায়াত করে আসছে।
জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, করোনার মহামারিতে ওই সড়কের সংস্কার কাজ ব্যাহত হয়েছিল। এরপরও আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ওই সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।