ঝিনাইদহ পৌরসভা
ভবনের পানি সড়কে, দুর্ভোগ
ওই বাড়ি থেকে পানিনিষ্কাশনের কোনো নালা নেই। হাউসে (চৌবাচ্চা) এসে পানি জমা হয় যা পরে সড়কে গিয়ে পড়ে।
ঝিনাইদহ পৌরসভার চাকলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব উদ্দীন আহম্মদ (বীর বিক্রম) সড়কের দুই পাশের রয়েছে জেলা জজ, জেলা যুগ্ম জজ, পুলিশ সুপার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর সরকারি বাসভবন। অনেক সরকারি কর্মকর্তা ওই সড়কের পাশে বিভিন্ন ভবনে ভাড়া থাকেন। কিন্তু সড়কটি দিয়ে পথচারীদের নাক-মুখ চেপে চলাচল করতে হয়। সেখানকার একটি বাড়ি থেকে ময়লা পানি সড়কে এসে পড়ছে।
পাঁচতলা ভবনটির মালিক রবিউল ইসলামের নামের এক ব্যবসায়ী। ওই বাড়ি থেকে পানিনিষ্কাশনের কোনো নালা নেই। ভবনের সামনে হাউসে (চৌবাচ্চা) এসে পানি জমা হয়। ওই হাউস উপচে পানি সড়কে গিয়ে পড়ে। এই অবস্থা দীর্ঘদিনের হলেও প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
শহরের চাকলাপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব উদ্দীন আহম্মদ (বীর বিক্রম) সড়কটি তারেক মোড় থেকে বের হয়ে নবগঙ্গা নদীর কাছে শেষ হয়েছে। আরেকটি পথ পাড়ার মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে চাকলাপাড়া হাটখোলা এলাকায় এসেছে। অন্য আরেকটি পথ বিহারি পট্টি এলাকায় গিয়ে শেষ হয়েছে।
এই সড়কগুলোর দুই পাশে অসংখ্য বহুতল ভবন রয়েছে। সড়কের পশ্চিম পাশে রয়েছে জেলা জজ ও পুলিশ সুপারের বাসভবন। এর সামনেই পূর্ব পাশে রবিউল ইসলামের পাঁচতলা ভবন। তাঁর গ্রামের বাড়ি শৈলকুপা উপজেলার পাচপাকিয়া গ্রামে। ১১ থেকে ১২ বছর আগে তিনি ঝিনাইদহ শহরে বাড়িটি নির্মাণ করেন।
২১ সেপ্টেম্বর গিয়ে দেখা যায়, পাঁচতলা বাড়িটির সামনে দুইটি উন্মুক্ত চৌবাচ্চা। সেখান থেকে পানি উপচে সড়কে পড়ছে। ওই বাড়ি থেকে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। কথা হয় পথচারী আমিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, পুরো বর্ষা মৌসুম তাঁদের এই সড়ক দিয়ে কষ্ট করে চলাচল করতে হয়। ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানির মধ্যে দিয়ে হাঁটাও যায় না। তারপরও উপায় না পেয়ে চলাচল করতে হয়।
ওই এলাকার বাসিন্দা জাহিদুল হক বলেন, তাঁদের এলাকায় পৌরসভার কোনো ড্রেন নেই। যে কারণে সবাই নিজেদের মতো করে পানিনিষ্কাশন করে থাকেন। তিনিও বাড়ির পেছনের অংশে বড় কুয়া তৈরি করেছেন। কিন্তু রবিউল ইসলাম বাড়ির সামনে ছোট চৌবাচ্চা তৈরি করে সেখানে পানি জমান। সেখান থেকে রাস্তায় দুর্গন্ধযুক্ত পানি আসছে।
ভবনের মালিক রবিউল ইসলাম বলেন, তাঁর ভবনে ১৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে। বর্তমানে ১০ জন ভাড়াটিয়া রয়েছেন। এই এলাকায় পানিনিষ্কাশনের নালা নেই। তাঁর ভবনের সামনে সড়কের পাশে দুটি বড় চৌবাচ্চায় গোসল ও রান্নাঘরের পানি জমে। কিন্তু ভবনে লোকসংখ্যা বেশি হওয়ায় দ্রুত চৌবাচ্চা ভরে যায়। তিনি নিজ খরচে পৌরসভার গাড়িতে করে করে পানি ও বর্জ্য সরিয়ে ফেলেন। মাঝেমধ্যে গাড়ি পেতে সমস্যা হয়। তখন চৌবাচ্চা থেকে পানি উপচে রাস্তায় চলে যায়।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের প্রধান কামাল উদ্দিন জানান, ওই এলাকায় পৌরসভার কোনো ড্রেন নেই। তবে তাঁরা ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছেন।