বড়পুকুরিয়ায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে দুই গ্রামের মানুষের মানববন্ধন
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন করায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁশপুকুর ও বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মানুষ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। আজ সোমবার বাঁশপুকুর ও বৈদ্যনাথপুর বড়পুকুরিয়া বাজারে তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করেছেন।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলা এই মানববন্ধনে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলন অব্যাহত থাকায় দিনাজপুরের পার্বতীপুরের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁশপুকুর ও বৈদ্যনাথপুর গ্রামের চার শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। এতে বক্তব্য দেন জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটির উপদেষ্টা ইব্রাহিম খলিল, সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বোরহান আলী, রেজওয়ানুল হক, রুহুল আমীন, বেলাল আহম্মেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা তোলা অব্যাহত থাকায় বাশঁপুকুর ও বৈদ্যনাথপুর গ্রামের ১৫ দশমিক ৫৮ একর জমি দেবে যাওয়ায় ২০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়লা তোলার কারণে বাড়িঘরে ফাটল ধরেছে এবং কুয়া, নলকূপ ও পুকুরের পানির স্তর নীচে নেমে যাচ্ছে। ২০২০ সালের ১ মার্চ ৪ ধারায় ও ২৩ জুন ৭ ধারায় ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় খনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ভূমিমালিকদের জমি অধিগ্রহণের নোটিশ দেয়। কিন্তু আজও জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়নি।
বক্তারা আরও বলেন, কয়লা তোলার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণও দেয়নি। এতে বাঁশপুকুর ও বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে।
ইব্রাহিম খলিল বলেন, খনি কর্তৃপক্ষ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুই গ্রামের জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।