ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভার্চ্যুয়াল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে ফেসবুকভিত্তিক একটি সংগঠন ‘আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র ভার্চ্যুয়াল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে জেলা শহরের ফরিদ উদ্দিন আনোয়ারা টাওয়ারের লা রোজায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় আইডিয়াল রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লা রোজার ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা বিবর্ধন রায়।
সংগঠন সূত্রে জানা যায়, ‘আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুক্তির আলোয় রঙিন’ স্লোগানে ৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি ভার্চ্যুয়াল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সেদিন সংগঠনটির ফেসবুক গ্রুপে লাইভের মাধ্যমে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্তভাবে অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। ভার্চ্যুয়াল এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও সাহিত্যিক আনিসুল হক। ১৬ ডিসেম্বর রাত আটটা আট মিনিট পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল এ প্রদর্শনী উন্মুক্ত রাখা হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে অনলাইনে মুক্ত দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে তিনটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে (চিত্রাঙ্কন, ছবি ও ভিডিওগ্রাফ) মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভার্চ্যুয়াল প্রদর্শনীর জন্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বিভিন্ন মানুষের কাছে অনলাইনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন, ছবি ও ভিডিওর আহ্বান করা হয়। প্রতিযোগীদের কাছ থেকে পাওয়া মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন, ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল প্রদর্শনী করা হয়।
ভার্চ্যুয়াল প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন ফটোগ্রাফার প্রীত রেজা, নির্মাতা দেওয়ান রবি। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রদর্শনী শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতি ক্যাটাগরিতে সেরা ১২ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর মুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ২০১৫ সাল থেকে আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামে সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ‘রঙিন হবে আমাদের স্কুল’ স্লোগানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়। এ দিন তারা শহরের যেকোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বাছাই করে এর সীমানাপ্রাচীর ও দেয়াল বিজ্ঞাপনমুক্ত করে সেখানে রংতুলির আঁচড়ে মুক্তিযুদ্ধের নানা ছবি ফুটিয়ে তোলে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর সেটি হয়নি।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বিবর্ধন রায় বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তুলে ধরতেই এ উদ্যোগ। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এমন আয়োজন জেলায় এটাই প্রথম। এ আয়োজনে সহযোগী হয়েছিল লা রোজা, চিল খোঁজ, বৈঠকখানা, লিখল বঙ্গ প্রস্থ স্কুল ও বাগবাড়ি স্টুডিও।