বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রির অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ ছাড়া বাড়িতে অবৈধভাবে তেল মজুত রাখার দায়ে তাঁর দোকান সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার সরুপাই বাজারে এই অভিযান চালান অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরুপাই বাজারের পুষ্পকলি স্টোরের মালিক প্রশান্ত সাহা ঈদের পর থেকে বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন—এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বাজারে অভিযান চালায় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলে ৭৯৫ টাকা লেখা থাকলেও এক ক্রেতার কাছে এক হাজার টাকা দাম রাখেন দোকানমালিক প্রশান্ত সাহা। সে সময় সেখানে উপস্থিত হন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান। জিজ্ঞাসাবাদে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই বেশি দামে তেল বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেন। এ ছাড়া দোকানে বোতলজাত তেল না থাকায় পাশেই ব্যবসায়ী প্রশান্ত সাহার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ওই বাড়িতে ৫ লিটারের ২২ বোতল (১১০ লিটার) সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। এরপর ব্যবসায়ী প্রশান্ত সাহাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি বাড়িতে অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুত করায় তাঁর দোকানটি সিলগালা করা হয়।
চার লিচু ব্যবসায়ীকে জরিমানা
আজ সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লিচুর দোকানে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তরের একই দল। এ সময় ক্রেতাদের পরিমাণে কম লিচু দেওয়ায় চার লিচু ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ক্রেতাদের কাছে ১০০টি লিচুর দাম রাখা হলেও দেওয়া হয় ৮৫–৯০টি লিচু। ক্রেতাদের পরিমাণে কম লিচু দেওয়ার দায়ে লিচু ব্যবসায়ী আল-আমিনকে ১ হাজার ২০০ টাকা, মো. পারভেজকে ৬০০ টাকা, ছবেদ আলীকে ৬০০ টাকা এবং ফারুক হোসেনকে ৯০০ টাকা জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।