বেনাপোল থেকে ২০টি ককটেল উদ্ধার
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর–সংলগ্ন এলাকার একটি বাড়ি থেকে ২০টি ককটেল উদ্ধার করেছে বিজিবি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই ককটেল উদ্ধার করে বেনাপোল বন্দর থানার পুলিশের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। বোমা রাখার ঘটনায় জড়িত কেউ আটক হয়নি।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি বন্দরের ৫ নম্বর ফটকের বিপরীতে আবদুর রশিদের পরিত্যক্ত বাড়িতে তল্লাশি চালায়। বাড়ির দ্বিতীয় তলার শৌচাগার থেকে হাতে তৈরি ২০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর সাধারণ ডায়েরির মাধ্যমে বিজিবি সেগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
এ বিষয়ে বিজিবির যশোর ব্যাটালিয়নের (৪৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা বলেন, তাঁদের কাছে খবর আসে যে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে বেনাপোল বন্দরের সামনে একটি বাড়িতে ককটেল মজুত করা হয়েছে। এরপর বিজিবি সদস্যরা বন্দরের ৫ নম্বর গেটের সামনে রশিদ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় বাড়ির টয়লেট থেকে ২০টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। বাড়িটি বন্দরের শ্রমিকেরা তাঁদের বিশ্রামের জন্য ভাড়া নিয়েছিলেন। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার করা ককটেল বেনাপোল বন্দর থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ওই বাড়িতে শ্রমিকদের কেউ রাতে থাকেন না। দিনের বেলা বিশ্রাম করতেন। বন্দরে প্রভাব বিস্তার নিয়ে শত্রুতাবশত কেউ এ কাজ করতে পারেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শ্রমিকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে সাধারণ শ্রমিকেরা জীবননাশের ঝুঁকিতে রয়েছেন। গত মাসে বন্দরের মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এ ছাড়া কিছুদিন আগে বন্দরের মধ্যে একটি টয়লেট থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। বারবার এসব ঘটনা ঘটলেও রহস্যজনক কারণে অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, ককটেলগুলো বিজিবি উদ্ধার করে দিয়ে গেছে। এখন যাচাই–বাছাই করে দেখা হচ্ছে কে বা কারা জড়িত।