‘বিষপান করা’ নারীকে মৃত ঘোষণা করতেই পালালেন স্বজনেরা
নরসিংদীর পলাশে এক নারীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন দুজন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে পর্যবেক্ষণ করে মৃত ঘোষণার পর লাশ ফেলেই পালিয়ে যান ওই ব্যক্তিরা। সারা দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও ওই নারীর লাশ নিতে কেউ আসেননি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, নিহত ওই নারীর বয়স ২২ কি ২৩ বছর। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই নারীর পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে হাতের ও পায়ের ছাপ নেওয়াসহ তাঁর পরিচয় শনাক্ত করার সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁকে যাঁরা হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন, তাঁদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সকাল ১০টার দিকে ‘বিষ খেয়ে’ ফেলেছেন উল্লেখ করে এক নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন এক নারী ও এক পুরুষ। দ্রুত তাঁর চিকিৎসা শুরু করতে গিয়ে তাঁদের পরিচয় নিবন্ধন করা সম্ভব হয়নি। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাইনুদ্দীন তাঁকে মৃত ঘোষণা করার পরই যাঁরা তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন, তাঁদের আর পাওয়া যাচ্ছে না। সন্ধ্যা পর্যন্ত অজ্ঞাতপরিচয় ওই নারীর লাশ হাসপাতালে রাখার পরও কেউ না আসায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাদেকুর রহমান আকন্দ বলেন, ওই নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, একজন নারী ও একজন পুরুষ তাঁকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে এখানে নিয়ে এসেছিলেন। নিহত ওই নারীর মুখে বিষজাতীয় তরলের দুর্গন্ধ ছিল। ময়নাতদন্তের পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে।