বিদ্যুৎ নেই, ভরসার মোমবাতিরও সংকট
সিলেটে গত বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। সেসব এলাকায় এখন মোমবাতির আলোতেই ভরসা। কিন্তু এর মধ্যে বিভিন্ন এলাকায়ও মোমবাতির সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়া বন্যার পানিতে কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে যাওয়ায় সেগুলো বন্ধ রয়েছে। এতে সংকট আরও বেড়েছে। এদিকে সিলেটের কিছু এলাকায় গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল থাকলেও পরবর্তী সময় বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পর থেকে আরও সংকেট পড়েছে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মোমবাতি ও দেশলাই সংগ্রহ করেছে অনেকে।
গতকাল রাতে সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় মোমবাতি কিনতে এসেছিলেন নগরের ঘাসিটুলা এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া খাতুন। তিনি এবং তাঁর স্বামী বেশ কয়েকটি মুদিদোকানে মোমবাতির খোঁজ করলেও না পেয়ে অবশেষে রিকাবীবাজারে এসেছেন বলে জানান।
রিকাবীবাজার এলাকার আল মক্কা স্টোর নামের মুদিদোকানের ব্যবসায়ী মো. জসিম আহমদ বলেন, এখন মোমবাতি ও দেশলাইয়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। অনেকে দুই থেকে তিন প্যাকেট করে মোমবাতি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে দাম বাড়েনি বলে জানান তিনি।
শাহজালাল উপশহর এলাকার বাসিন্দা সাব্বির আলমের সঙ্গে দেখা হয় নগরের দারগাহ গেট এলাকায়। সেখানে তিনি দুটি মোমবাতির প্যাকেট কিনছিলেন (প্রতিটিতে ছয়টি করে মোমবাতি)। সাব্বির আলম বলেন, ‘শাহজালাল উপশহরের প্রায় সব কটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। সোবহানীঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেও মোমবাতি পাইনি। অবশেষে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজারের পাশে এসে মোমবাতি পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘উপশহর এলাকায় যেদিন থেকে পানি প্রবেশ শুরু করে, সেদিন এক প্যাকেট মোমবাতি কিনেছিলাম। সেটি দিয়ে দুই দিন চলেছে। তবে বৃহস্পতিবার রাতে গিয়ে মোমবাতি পাইনি। পরে কোনোরকমে রাত কাটিয়ে গতকাল পার্শ্ববর্তী বাসা থেকে দুটি মোমবাতি সংগ্রহ করেছি। পরে শনিবারে মোমবাতি খুঁজতে বের হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাসার সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য স্বজনের বাসায় পাঠিয়েছি। বাসায় মালামাল পাহারা দেওয়ার জন্য আমি অবস্থান করি। বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে থাকতে হয়।’