বাড়িতে ঢুকে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, শিশু দেখে ফেলায় পালাল দুর্বৃত্তরা
নওগাঁর বদলগাছিতে ছাগল কেনার নামে বাড়িতে এসে এক গৃহবধূকে (২০) হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী ভ্যানচালক। গৃহবধূ বাড়িতে ছাগল লালন-পালন করতেন। প্রায় দুই মাস আগে চার ব্যক্তি বাড়িতে এসে ছাগল কিনে নিয়ে যান। তাঁরা গৃহবধূকে একটি মুঠোফোনের নম্বর দেন। ওই মুঠোফোনের নম্বরটি বাড়ির মাটির দেয়ালে লিখে রাখেন তিনি। গৃহবধূ তাঁর মুঠোফোন থেকে ভুলক্রমে ওই নম্বরে কল করেন। এরপর গৃহবধূকে মুঠোফোনে উত্ত্যক্ত করছিলেন তাঁরা। আজ শুক্রবার দুপুরে গৃহবধূ বাড়িতে একা ছিলেন। এ সময় দুই ব্যক্তি ছাগল কিনতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে আসেন। তাঁরা গৃহবধূকে একা পেয়ে তাঁকে ঘরের ভেতরে নিয়ে হাত-পা বেঁধে বিবস্ত্র করেন। এ সময় এক শিশু বাড়িতে ঢুকে এ দৃশ্য দেখে বাইরে এসে লোকজনদের জানান। এর মধ্যেই ওই দুই ব্যক্তি দ্রুত বাড়ির পেছনের মাঠ দিয়ে পালিয়ে যান।
গৃহবধূর স্বামী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্ত্রী বাড়িতে একা ছিলেন। দুই ব্যক্তি ছাগল কেনার নামে বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্ত্রীকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে। তবে তাঁর স্ত্রী ওই দুজনকে চিনতে পারেননি।
উপজেলার কোলা ইউনিয়নের সদস্য ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি জানার পর গ্রামের এক ব্যক্তি পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পরে বদলগাছি থানার পুলিশ এসে গৃহবধূকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। দিনদুপুরে এমন ঘটনা তাঁদের ভাবিয়ে তুলেছে। তাঁরা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছে।
বদলগাছি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রায়হান হোসেন শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ছাগল ক্রেতা সেজে বাড়িতে গিয়ে এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশ গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ অপরাধীকে ধরতে মাঠে নেমেছে।