বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার দুপুর ১২টায় নালিতাবাড়ী থানায় এমন অভিযোগে সাতজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। পরে পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। ভুক্তভোগী মেয়ে কিশোরী (১৬)।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা আবদুস সাত্তার (৪৫) ও সাদেক মিয়া (৩০)। মামলা হওয়ার পর শেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) নাহিদ হাসান চৌধুরী ও নালিতাবাড়ী সার্কেলের এএসপি আফরোজা নাজনীন থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
পুলিশ ও অভিযোগকারী দুজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর জেলা সদর থেকে নালিতাবাড়ী উপজেলায় বাবার বাড়িতে মেয়েকে (১৬) নিয়ে যাচ্ছিলেন মা (৪০)। রাত সাড়ে নয়টায় অটোরিকশা থেকে গ্রামের একটি সড়কে নেমে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা।
এ সময় সাত্তার ও সাদেকের সঙ্গে মা-মেয়ের দেখা হয়। সাত্তার ও সাদেক তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জোর করে গ্রামের মো. উসমানের (৪০) বাড়িতে নিয়ে যান। এ সময় ওমর আলী (৪০) নামের আরেকজন মুঠোফোনে জাহাঙ্গীর আলম (৩০), তারা মিয়া (৩২), মফিজ উদ্দিন (৩০) নামের আরও তিনজনকে ডেকে উসমানের বাড়ি আনেন।
পরে নারীকে বসতঘরে ও তাঁর মেয়েকে বাড়ির পেছনের বাঁশঝাড়ে নিয়ে সাতজন মিলে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেন। রাত সাড়ে ১২টায় মা-মেয়ের চিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যান।
আজ সকালে এলাকাবাসী খবর দিলে মা-মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। মামলা হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১ নম্বর আসামি আবদুস সাত্তার ও ২ নম্বর আসামি সাদেক মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। বাকি আসামিরা পলাতক।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, মা-মেয়েকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।