বালুবাহী কার্গোতে ডাকাত দলের হামলা, চালককে অপহরণ

পটুয়াখালী জেলার মানচিত্র

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলাসংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীতে একটি বালুবাহী কার্গোতে হামলা চালিয়ে এর চালককে (সারেং) অপহরণ করে নিয়ে গেছে একদল ডাকাত। তেঁতুলিয়া নদীর ধুলিয়া এলাকায় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

কার্গোটির নাম ‘এমভি মদিনার আলো’। এটি চালাচ্ছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন (৫২) নামের এক ব্যক্তি। রাত ১০টা পর্যন্ত তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। জাহাঙ্গীরের বাড়ি বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা গ্রামে।

কার্গোতে থাকা বেল্লাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গত রোববার ভোরে কুষ্টিয়া থেকে বালু বোঝাই করে ‘এমভি মদিনার আলো’ নামে কার্গোটি পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়ায় রওনা হয়। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর ধুলিয়া এলাকায় পৌঁছালে ৮-১০ জনের একটি ডাকাত দল দ্রুতগতির একটি ট্রলার নিয়ে কার্গোতে হামলা চালায়। এই সময় ডাকাত দল কার্গোতে উঠে অস্ত্রের মুখে কার্গোতে থাকা পাঁচজনকে জিম্মি করে মারধর করে মুঠোফোন নিয়ে যায়। চলে যাওয়ার সময় কার্গোর চালক জাহাঙ্গীর হোসেনকে অপহরণ করে ট্রলারে করে নিয়ে যায় ডাকাত দল।

কার্গোর মালিক গাজী গিয়াস উদ্দিন বলেন, কার্গোটি ভাড়ায় নিয়ে ব্যবসা করেন তিনি। বিষয়টি জানার পর বাউফল থানার পুলিশকে জানিয়েছেন। রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত কার্গোর চালক জাহাঙ্গীরের কোনো হদিস পাননি তিনি। পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়নি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে, তা ভোলার বোরহানউদ্দিনের মধ্যে পড়েছে। ওই থানার পুলিশকে জানাতে হবে। পুলিশের এমন মন্তব্যের বিষয়ে গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘বাউফল থানার পুলিশ না গিয়ে কীভাবে বুঝলেন ভোলার বোরহানউদ্দিনের মধ্যে পড়েছে?’ মালিকের দাবি, যেখানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, তা বাউফল উপজেলার আওতাধীন।