বাবার ২০ বছর পর একই মহাসড়কে প্রাণ গেল ছেলের
একটি মোটরসাইকেলে করে মামা হৃদয় বণিক (২৫) ও তাঁর ভাগনে পার্থ দেব (২৪) যাচ্ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের একটি ক্লিনিকে। সেখানে ভর্তি অন্তঃসত্ত্বা ভাগনি স্বর্ণা দেবকে (২২) দেখতে যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী একটি বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হৃদয়ের।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বৈশামুড়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। হৃদয় বণিকের বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন তাঁর বাবা বিমল বণিকও একই মহাসড়কের মাধবপুর এলাকায় ট্রাক চাপায় প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে জানান হৃদয়ের আত্মীয় প্রসেঞ্জিত সরকার (৩০)।
হৃদয় বণিকের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বেজোড়া গ্রামে। তিনি পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর পাঁচ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। এ দুর্ঘটনায় হৃদয়ের ভাগ্নে পার্থ দেব আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হৃদয় ও পার্থ বিকেল চারটার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সাড়ে চারটার দিকে বৈশামুড়া এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে তাজ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়।
এতে মোটরসাইকেলর চালক হৃদয় বণিক ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। আহত হন পার্থ দেব। তাঁকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুখেন্দু বসু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, নিহত তরুণের লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। বাসটি নিয়ে চালক পালিয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।