বাঘের বাচ্চা নয়, ওটা বনবিড়াল

গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে বনবিড়ালটি। তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়, ৬ সেপ্টেম্বরসংগৃহীত

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বাঘের বাচ্চা ভেবে একটি বনবিড়ালকে আটক করেছেন স্থানীয় লোকজন। রোববার দুপুরে উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের শিবচণ্ডী এলাকার এক চা–বাগান থেকে এটিকে আটক করা হয়।

পরে বনবিড়ালটিকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।

দেবনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহসিন উল হক বলেন, দুপুরে শিবচণ্ডী এলাকায় একটি চা–বাগানে কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। এ সময় তাপস ও আলম নামের দুজন চা–শ্রমিক বাঘসদৃশ প্রাণীটি দেখতে পান। তাঁরা সেটিকে বাঘ ভেবে স্থানীয় লোকজনসহ অন্য শ্রমিকদের ডেকে জড়ো করেন। পরে ধাওয়া করে বনবিড়ালটিকে আটক করে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ইছামুলের বাড়ির সামনে বেঁধে রাখেন। বাঘ ধরা পড়েছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রাণীটিকে দেখার জন্য শত শত উৎসুক মানুষ ভিড় করতে থাকেন। খবর পেয়ে বিকেলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে প্রাণীটিকে উদ্ধার করেন এবং ছবি তুলে দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে পাঠান।

জানতে চাইলে তেঁতুলিয়া উপজেলা বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা শহীদুর রহমান বলেন, প্রায় তিন থেকে চার বছর বয়সী প্রাণীটির উচ্চতা এক ফুট এবং দৈর্ঘ্য দুই ফুট হবে। ছবি তুলে নিশ্চিত হওয়ার জন্য দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগ কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পরে সেখান থেকে প্রাণীটিকে বনবিড়াল বলে শনাক্ত করা হয়েছে।

দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ছবি দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি বাঘ বা মেছো বাঘ নয়, বনবিড়াল। বনবিড়ালটিকে দিনাজপুর নিয়ে আসা হবে। এর বিশ্রাম ও চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তা করা হবে এবং পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রাণীটি অবমুক্ত করা হবে।

সম্প্রতি জেলার সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের মুহুরীজোত, সাহেবীজোত, তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের উষাপাড়া ও বাদিয়াগছ এলাকার পরিত্যক্ত চা–বাগানগুলোতে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে অভিযান চালিয়ে এসব এলাকায় কোনো বাঘের অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি বন বিভাগ।