বরিশাল বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৭৪০

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল আটটা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ২ হাজার ৮৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৭৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আজ বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও করোনার উপসর্গ নিয়ে সর্বোচ্চ ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এটা ছিল এই বিভাগে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড। এর মধ্যে ১৮ জন মারা যান করোনার উপসর্গ নিয়ে। আর বাকি ১৩ করোনা পজিটিভ ছিলেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয় করোনার উপসর্গ নিয়ে। তাঁরা সবাই বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান। এ নিয়ে এই হাসপাতালে করোনার উপসর্গে মারা গেলেন মোট ৮০৫ জন। বাকি সাতজন মারা যান করোনা পজিটিভ হয়ে। তাঁদের মধ্যে বরিশালে তিনজন, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় দুজন করে রোগী মারা যান। এ নিয়ে বিভাগে করোনায় ৪৮৪ জনের মৃত্যু হলো।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত ৭৪০ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ বরিশাল জেলায় ২৪৫ জন। পটুয়াখালীতে ১৭৯ জন, ভোলায় ১৬৫ জন, পিরোজপুরে ৬৩ জন, বরগুনায় ৪৬ জন ও ঝালকাঠিতে ৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে মোট শনাক্তের সংখ্যা ২৩ হাজার ৩৬৭ জন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, বিভাগে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটিই বাড়ছে। আগস্টেও তা অব্যাহত আছে। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে টিকা নিতে উদ্যোগী হতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিটে রোগীদের শয্যা মিলছে না। আজ সকাল পর্যন্ত এই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৩২৭ জন। সবারই অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। শয্যা না পেয়ে মেঝেতে ঠাঁই নিতে হচ্ছে রোগীদের। এখানকার ২২টি আইসিইউ শয্যা এক মাস ধরে মুমূর্ষু রোগীতে পূর্ণ। ফলে অনেক রোগীর জরুরি প্রয়োজনেও মিলছে না আইসিইউ। এ ছাড়া হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে সময়মতো অক্সিজেন না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন স্বজনেরা।