বদলগাছীতে দুই প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. ফিরোজ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.আবদুর রাজ্জাকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই ইউনিয়নের রুকনপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভাঙচুরের ঘটনায় ওই দুই প্রার্থী পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল রাত আটটার পর ফিরোজ হোসেন চারটি মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্পে আসেন। ওই ক্যাম্প থেকে মাত্র ২০ গজ দূরেই আবদুর রাজ্জাকের নির্বাচনী ক্যাম্প। ওই সময় আবদুর রাজ্জাকের নির্বাচনী ক্যাম্পে কেউ ছিলেন না। কিছুক্ষণ পর আবদুর রাজ্জাকের নির্বাচনী ক্যাম্পের বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ হয়ে যায়। আলো নিভে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর নির্বাচনী ক্যাম্পের পেছনের বাসিন্দা আবুল কাশেমের বাড়ির লোকজন এসে দেখেন আবদুর রাজ্জাকের নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
খবর পেয়ে আবদুর রাজ্জাক ও তাঁর ১৫ থেকে ২০ জন কর্মী-সমর্থক সেখানে ছুটে আসেন। এরপর দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরপর আওয়ামী লীগের ফিরোজ হোসেনের ক্যাম্পে ভাঙচুর করা হয়।
ফিরোজ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রাতে আবদুর রাজ্জাকের কর্মী-সমর্থকেরা রুকনপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেছেন। এ সময় তাঁর দুই কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। প্রচারণার মাইক ও একটি মোটরসাইকেল ডোবায় ফেলা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে পাল্টা অভিযোগ তুলে আবদুর রাজ্জাক বলেন, নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেছেন। তাঁর কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ক্যাম্প ভাঙচুর ও কর্মীকে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার লোকজন কেউ ভয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পের আশপাশেও যাচ্ছেন না, ক্যাম্প ভাঙচুর করা তো দূরের কথা। ওই প্রার্থীর লোকজন নিজেরাই তাঁদের ক্যাম্প ভাঙচুর করে আমার কর্মী-সমর্থকদের দোষারোপ করছেন। আমার কর্মীরা তো আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তাঁর লোকজনের হুমকি-ধমকিতে তটস্থ। তাঁরা তো আমার পোস্টারই থাকতে দিচ্ছে না।’
বদলগাছী থানার ওসি আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।