বগুড়ায় জি এম সিরাজ অবাঞ্ছিত
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ তিন নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিবাদে গত শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁদের অনুসারী কর্মী ও সমর্থকেরা।
এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা দলটির সাবেক সাংসদ জি এম সিরাজকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাঁর কুশপুতুল দাহ করেন। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।
এদিকে দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝোলানোর প্রায় ২২ ঘণ্টা পর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম গিয়ে তা খোলেন।
সাইফুল ইসলাম বলেন, তাঁকে শোকজ করাসহ তিন নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছেন। তবে কেন্দ্রীয় বিএনপির এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি তিনি পাননি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়া পল্টন কার্যালয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি বরকতুল্লাহর উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে জেলা কমিটি পুনর্গঠন–বিষয়ক সভায় বাগ্বিতণ্ডা হয়।
এ ঘটনায় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ায় দলের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে রাতেই বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ এবং তাঁর অনুসারী নেতা ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও বগুড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিমল কুমার দাস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এবং জেলা বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক শাহ মেহেদী হাসানের দলীয় সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুল আলম বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যালয়ে জেলার নেতাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। উল্টো শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।