বগুড়ায় করোনায় দুজনের মৃত্যু, উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন আরও চারজন
বগুড়ায় করোনায় সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই রোগের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও চারজন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত বগুড়ার দুটি হাসপাতালে এই ৬ জন মারা যান।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনা পজিটিভ এক রোগী বুধবার রাত ১০টার দিকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাঁর নাম রফিকুল ইসলাম (৬৪)। তাঁর বাড়ি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার চুপিনগর গ্রামে। করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২৩ জুলাই তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা শনাক্ত হয়।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনার উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটায় নন্দীগ্রাম উপজেলার নুনদহ গ্রামের আবদুল ওহাব (৭৫), এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় শেরপুর উপজেলার কাটুরিয়া গ্রামের গোলাম মোরশেদ (৭২), রাত ২টায় নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের আবদুল মোতালেব (৪০) এবং শাজাহানপুর উপজেলার মোরশেদা বেগম (৫২) মারা যান।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কোভিড-১৯ রোগে সংক্রমিত হয়ে বগুড়ার বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন আঞ্জুমান আরা নামের এক রোগী। তাঁর বয়স ৬০ বছর।
টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের মুখপাত্র আবদুর রহিম বলেন, ওই নারী ৫ আগস্ট নমুনা দেন। ওই দিনই তাঁর নমুনা টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। ওই পরীক্ষায় তিনি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। কয়েক দিন বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পর ১০ আগস্ট তিনি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বগুড়ায় ৫ হাজার ৫১৫ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। তাঁদের মধ্যে মারা যান ১২২ জন, সুস্থ হন ৪ হাজার ৩৮৭ জন। বর্তমানে আক্রান্ত ১ হাজার ১৮৮ জন।