বগুড়ায় অস্ত্রের মুখে অটোরিকশা থামিয়ে একজনকে গুলি করে হত্যা
বগুড়ায় অস্ত্রের মুখে চলন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশার পথ রোধ করে যাত্রী মোজাফফর হোসেন ওরফে বাবা হুজুর (৫০) নামের একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। দুটি মোটরসাইকেলে আসা একদল দুর্বৃত্ত অন্য যাত্রীদের সামনেই প্রকাশ্যে পরপর দুটি গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ মোজাফফর ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলার জোড়া কৃষি কলেজ–সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
মোজাফফর হোসেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের সুকাশ নওদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের ভাষ্যমতে, সিএনজিচালিত অটোরিকশা মোজাফফরসহ পাঁচজন যাত্রীকে নিয়ে নন্দীগ্রামের দিক থেকে বগুড়া শহরে ফিরছিল। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের জোড়া কৃষি কলেজ–সংলগ্ন এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলে আসা দুবৃর্ত্তরা অটোরিকশার পথ রোধ করে। এরপর দুজন মোটরসাইকেল থেকে নেমে অটোরিকশার যাত্রী মোজাফফর হোসেনের বুকে পরপর দুটি গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
নাটোরের সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর-এ আলম সিদ্দিকী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, মোজাফফর পেশায় কবিরাজ। তিনি একই সঙ্গে বগুড়া শহরে একটি কওমি মাদ্রাসার প্রধান ছিলেন। তাঁর দুই স্ত্রী। দুই পক্ষের দুই কন্যাসন্তান আছে তাঁর। প্রথম স্ত্রী সিংড়ার সুকাশ গ্রামেই থাকেন। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে মোজাফফর বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকায় বসবাস করতেন। সিংড়ায় তাঁর সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ নেই। সম্ভবত বগুড়ার কোনো ঘটনার জেরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ প্রকাশ্যে একজনকে গুলি করে হত্যার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কারা, কী কারণে মোজাফফরকে হত্যা করেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।