২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ফেসবুক লাইভে এবার হত্যার বদলে হত্যার হুমকি কাদের মির্জার

আবদুল কাদের মির্জা
ফাইল ছবি

ফেসবুক লাইভে এসে পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করার দুই ঘণ্টার মাথায় আবার লাইভে এসে হত্যার বদলে হত্যার হুমকি দিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে কাদের মির্জা তাঁর অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুকে লাইভে এসে এই হুমকি দেন। লাইভটি কাদের মির্জাসহ ২৬ জনের ফেসবুকে ট্যাগ করা হয়েছে।

ফেসবুক লাইভে কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, ‘নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি), দুর্নীতিবাজ অতিরিক্ত এসপি শামীম, কোম্পানীগঞ্জের দুর্নীতিবাজ ওসি—এই তিনজন মিলে সিরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মিকনকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করেছেন। একটু আগে আমি খবর পেয়েছি, এই তিনজন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তাঁকে ক্রসফায়ারে দেবে।’

কাদের মির্জা বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা কোম্পানীগঞ্জে কখনো ঘটেনি, আমরা করতে দিইনি। আজকে রাহাইচ্ছা (কাদের মির্জার ভাগনে ফখরুল ইসলাম ওরফে রাহাত) থানাকে টাকা দিয়ে ক্রসফায়ারে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ধরনের ঘটনার পরিণতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। আমি আমার এক ফোঁটা রক্ত থাকতে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে, তার জবাব কী দিয়ে দিতে হয়, ৪৭ বছরের রাজনীতির অভিজ্ঞতায় আমি অভিজ্ঞ। কীভাবে জবাব দিতে হয়, আমি জানি। হত্যার বদলে হত্যা। এটা ছেড়ে দেওয়া হবে না।’

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের পুলিশের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমি আজকে ৪৭ বছর রাজনীতি করি। কোনো পুলিশ আমার চোখের দিকে তাকাই কথা বলেনি। গায়ে হাত দেওয়া তো দূরে থাক। সম্মান করত, শ্রদ্ধা করত প্রত্যেকটা পুলিশ অফিসার। যাদের সাথে আমার লাগালাগি হয়েছে, তারাও কখনো আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেনি। আমি বিরোধী দল করেছি, তখনো আমাকে সম্মান করত, শ্রদ্ধা করত।’

কাদের মির্জা দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে গালি দিয়ে ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘...আজকে আমার গায়ে হাত দেয়। আমাকে গালিগালাজ করে, আমার মাকে ধরে গালিগালাজ করে। আমার ছেলেদের ক্রসফায়ারে দেবে। রক্তের হোলিখেলা কোম্পানীগঞ্জে চলবে, এটা কোনো অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হবে না।’

কাদের মির্জা থানার পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘চোর-ডাকাত নিয়ে থানায় বসে থাক? যারা ব্যাংক ডাকাতি করেছে, যারা মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করে, অস্ত্রবাজি করে, তাদের নিয়ে থানায় বসে তোমরা যুক্তি কর, তাদের মামলা তোমরা বসে বসে ড্রাফট কর, সেটা সাবমিট কর? সাংবাদিক মুজাক্কির, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আলাউদ্দিন হত্যাকারী বাদইল্যা (মিজানুর রহমান বাদল) কীভাবে থানায় যায়? কোম্পানীগঞ্জে কীভাবে ঘোরফেরা করে?’

কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি, উনিও কোনো ব্যবস্থা নেন নাই। এটা চলতে দেওয়া যায় না। কোনো অবস্থায় কাউকে, সে পুলিশ হোক, আর যেই হোক, এমপি হোক, মন্ত্রীর স্ত্রী হোক, আর সচিব হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমার সন্তানের গায়ে হাত দিয়েছে, কারও সন্তান রেহাই পাবে না, আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিচ্ছি।’

দিনের প্রথম লাইভে মির্জা কাদের অভিযোগ করেন, আজ বেলা ১১টার দিকে তিনি কোম্পানীগঞ্জ থানায় আটক তাঁর অনুসারী সিরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাজিম উদ্দিন ওরফে মিকনসহ সাতজন কর্মীকে দেখতে যান। থানায় যাওয়ার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং তাঁকে লাঞ্ছিত করেন। তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করা হয়।

আরও পড়ুন