ফেনী সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে ২ ভাইয়ের লাশ
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে রোববার সকালে দুই ভাইয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে দুই ভাইয়ের লাশ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বিজিবি লাশ দুটি পরশুরাম থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে সংক্ষিপ্ত পতাকা বৈঠকের পর লাশ হস্তান্তর করা হয়। নো-ম্যানস ল্যান্ডের ভারতীয় অংশে মারা যাওয়ায় দুই ভাইয়ের লাশ বিএসএফ নিয়ে যায়। বিজিবি ও পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, দুই ভাই বজ্রপাতে মারা গেছেন। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে পরশুরাম থানা-পুলিশ।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পরশুরাম পৌরসভার ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন গুথুমা গ্রামের কালাধন সরকারের দুই ছেলে মো. নুরুল করিম (২৮) ও মো. স্বপন (২৪) রোববার ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাড়ি থেকে বের হন। সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় লোকজন বাংলাদেশ-ভারতের নো-ম্যানস ল্যান্ডে দুই ভাইয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তখনই লাশ দুটি বিএসএফ ওই স্থান থেকে উদ্ধার করে তাদের কাছে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় সীমান্ত চৌকির বিজিবি পতাকা বৈঠকের প্রস্তাব করে। দুই পক্ষের পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফ লাশ দুটি বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
ফেনীর ৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. কামরুজ্জামান পরশুরামের গুথুমা সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশি দুই যুবকের লাশ হস্তান্তরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শওকত হোসেন বলেন, দুই ভাই বজ্রপাতে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেলেও ময়নাতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। দুই ভাইয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।