সুনামগঞ্জের ধরমপাশা
ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে চলছে মাছ শিকার, সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত
ধরমপাশার সোনার থাল হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের তিনটি স্থান কেটে মাছ ধরছে জেলেরা।দেড় সপ্তাহ ধরে এই অপতৎপরতা চলছে।
সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের চন্দ্র সোনার থাল হাওরের একটি ফসল রক্ষা বাঁধের তিনটি স্থান দুই সপ্তাহ আগে রাতের আঁধারে কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সপ্তাহ দেড়েক ধরে বাঁধের এসব কাটা স্থানে জাল পেতে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে বাঁধের পাশের একটি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে জয়শ্রী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাদে হরিপুর গ্রামের পেছনে চন্দ্র সোনার থাল হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) অধীন। গত অর্থবছরে প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে বাঁধটি পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়। মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে দুই সপ্তাহ আগে এ বাঁধের তিনটি স্থান (পাঁচ থেকে সাত ফুট করে) কেটে দেওয়া হয়।
সপ্তাহখানেক ধরে জয়শ্রী ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি শাহরিয়ার নাফিজের (৩০) নির্দেশে বাঁধের ওই তিন কাটা স্থানে নিষিদ্ধ ভিমজাল পেতে মাছ শিকার করা হচ্ছে। জাল পেতে মাছ শিকার করায় বাঁধের কাটা স্থানগুলো বড় হয়ে এখন ১৭ থেকে ২০ ফুট হয়ে গেছে। এ ছাড়া বাঁধের তিনটি স্থান কেটে ফেলায় পানির প্রবল স্রোতে বাঁধের পূর্ব পাশে এলজিইডির জয়শ্রী-মধ্যনগর ডুবো সড়কটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জয়শ্রী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাদে হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি শাহরিয়ার নাফিজ জেলেদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বাঁধের ওই কাটা স্থানে জাল পেতে মাছ শিকারের অনুমতি দিয়েছেন। এ ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’
তবে মাছ শিকারের অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে জয়শ্রী ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি শাহরিয়ার নাফিজ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়।’
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী ইমরান হোসেন বলেন, সরেজমিনে বাঁধটি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।