প্রার্থিতা ঘোষণা এহতেশামুলের
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হতে চান ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম। ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে গতকাল শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
আগামী ৫ মে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে মেয়র পদের প্রার্থিতা নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে নানা আলোচনা চলছে। সংবাদ সম্মেলন করে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা নির্বাচনে নতুন আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এহতেশামুল আলম। তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের মানুষের ইচ্ছাতেই আমি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাঙ্ক্ষিত ডিজিটাল ময়মনসিংহ নগরী গড়ে তোলার প্রত্যয়ে আমি মেয়র পদে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী।’
সংবাদ সম্মেলনে এহতেশামুল আলম মেয়র নির্বাচিত হলে যা যা করবেন তার সংক্ষিপ্ত কিছু লক্ষ্যের কথাও বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে ময়মনসিংহ নগরীকে সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজিমুক্ত করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবেন। যানজট নিরসনে রাত ১০টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ নগরে ভারী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পাশাপাশি ছোট পদচারী-সেতু নির্মাণ, সিটি বাস ও ওয়াটার বাস চালু করা হবে। ফুটপাত দখলমুক্ত রেখে পথচারীদের চলাচল নিরাপদ করবেন। নিরাপদ সড়কের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জেব্রা ক্রসিং ও পদচারী-সেতু নির্মাণ করবেন। এ ছাড়া সিটি অ্যাপসের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধার সব কার্যক্রম নগরবাসীকে অবগত করা হবে। এ ছাড়া তিনি বিনোদন ও খেলাধুলার আধুনিকায়নের জন্য নিজের পরিকল্পনার কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তাজুল আলম, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রকিবুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
সংশোধনী
গত বুধবার প্রথম আলোর ৫ নম্বর পাতায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রকাশিত সংবাদে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমানের বক্তব্য ছাপা হয়। তিনি মেয়র পদে নির্বাচনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। প্রকৃতপক্ষে তাঁর বক্তব্যটি ছিল, ‘আমরা কে কে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাই, সেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন। আমি তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) সিদ্ধান্তের ওপর আস্থাশীল।’ অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য দুঃখিত।