প্রবল স্রোতে মাঝপদ্মায় দুই ফেরির সংঘর্ষ, দুই গাড়ির মাঝে চাপা পড়ে নিহত ১
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং ও শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথের শরীয়তপুর টার্নিং পয়েন্টে দুই ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ফেরিতে থাকা গাড়ির চাপায় পিকআপ ভ্যানের চালকের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ হয়েছেন একজন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত চালকের নাম খোকন শিকদার (৩৭)। তিনি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামের মো. হারুন শিকদারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী, এক মেয়ে ও তিন ছেলে আছে। তিনি পিরোজপুরের চরখালী থেকে মাছ নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
দুর্ঘটনাকবলিত ফেরি দুটি হলো ফেরি সুফিয়া কামাল ও ফেরি বেগম রোকেয়া।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহম্মেদ আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা নদীতে এখন প্রচণ্ড স্রোত।
গতকাল দিবাগত রাতে বেগম রোকেয়া নামের ফেরিটি ৩০-৩৫টি যানবাহন নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে শরীয়তপুরের দিকে যাচ্ছিল। সুফিয়া কামাল নামের ফেরিটি শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। এই ফেরিতেও ৩৫-৪০টি যানবাহন ছিল।
রাত সাড়ে তিনটার দিকে ফেরি দুটি শরীয়তপুর টার্নিং পয়েন্টে আসে। প্রবল স্রোতের কারণে ফেরি দুটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সুফিয়া কামাল ফেরিতে থাকা পিকআপ ভ্যানের চালক মারা যান। আর বেগম রোকেয়া ফেরিতে থাকা এক ব্যক্তি নিখোঁজ হন। এই দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মো. আবু তাহের মিয়া বলেন, নিহত চালক তাঁর গাড়ি থেকে নেমে দুই গাড়ির মাঝে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সংঘর্ষের সময় ফেরিতে থাকা একটি গাড়ি আরেকটি গাড়ির গায়ে পড়লে মাঝখানে চাপা পড়েন চালক। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেরিতে থাকা অন্তত ১১টি প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন। স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের কর্মকর্তা ফয়সাল আহম্মেদ জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক। এই নৌপথে মোট পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে।