প্রতিমন্ত্রী মুরাদকে পদত্যাগ করতে বলায় সরিষাবাড়ীতে স্বস্তি
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগ নিয়ে তাঁর নির্বাচনী এলাকা জামালপুরের সরিষাবাড়ীর যমুনা সারকারখানা অঞ্চলে গতকাল সোমবার রাতে আনন্দমিছিল হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সমর্থকেরা আনন্দমিছিল করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের সাংসদ, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান সম্প্রতি ধর্ম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তাঁর নাতনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের হল ও নেত্রীদের নিয়ে অশালীন বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল মুরাদ হাসানকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানতে পেরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের সমর্থকেরা আনন্দমিছিল করেছেন।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক জরুরি সভা ডেকেছে। জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ সম্পাদক মুরাদ হাসানের বিষয়ে এ সভায় সিদ্ধান্ত হতে পারে।
সরিষাবাড়ীর একটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ আমাদের জন্য লজ্জাজনক বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলকে ক্ষতির হাত থেকে মুক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী মুরাদের বক্তব্যের জন্য আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মুরাদ হাইব্রিড নেতাদের মূল্যায়ন করতেন। ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতেন না। তাই তাঁর পদত্যাগ করার নির্দেশের খবর পেয়ে আমরা মিছিল করেছি।’
উপজেলা জাসদের (ইনু) সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রতিমন্ত্রীর আচরণ সরিষাবাড়ীর মানুষের জন্য লজ্জাজনক ছিল। তাঁর আচরণে সরিষাবাড়ীর সুনাম নষ্ট হয়েছে।
সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বলতে চাই, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর আচরণ ও বক্তব্য দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছিল। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছিল।’