পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে ধর্মঘটের ডাক
সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং ও লোভাছড়া পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার পণ্যবাহী যানবাহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ‘বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’। বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত সিলেটে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল এবং পাথরসংশ্লিষ্ট সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঐক্য পরিষদ মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ধারাবাহিকতায় প্রথম দফায় ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এই কর্মসূচির পরও পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া না হলে ১৭ ডিসেম্বর পরবর্তী কর্মসূচিতে সিলেট বিভাগজুড়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে।
লিখিত বক্তব্যে ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুল বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তে প্রায় এক বছর ধরে সিলেটের সব কটি পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ আছে। মূলত পরিবেশ রক্ষার অজুহাতে একটি চক্রের ইন্ধনেই দেশীয় এই সম্পদ আহরণ বন্ধ রেখে নিম্নমানের বিদেশি পাথর আমদানি করা হচ্ছে। অথচ সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোর পাথরই দেশের নির্মাণশিল্পের অন্যতম প্রাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় একদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে বেকার হয়ে পড়েছেন পাথর আহরণ, বিক্রয় ও পরিবহনের সঙ্গে জড়িত প্রায় ১৫ লাখ মানুষ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিশেষ করে সিলেট জেলার পাথর কোয়ারিগুলো স্থবির হয়ে পড়ায় প্রায় ছয় লাখ পাথরশ্রমিক বেকার হয়ে অর্ধাহারে–অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। এই খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল জলিল, সদস্যসচিব মো. নুরুল আমিন, সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সরকার, জাফলং পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাবুল মিয়া, সিলেট জেলা ট্রাকমালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক পুলক কবির চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাব্বীর আহমদ, কোম্পানীগঞ্জ পাথর ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক শওকত আলীসহ পাথর ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।