২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

পাগলা মসজিদের সিন্দুকে ১১১ দিনে মানুষের দান দেড় কোটি টাকা

সাড়ে তিন মাসেরও বেশি সময় পর গতকাল শনিবার কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। সেখান থেকে মানুষের দান হিসেবে দেড় কোটির বেশি অর্থ পাওয়া গেছে। ছবি: প্রথম আলো
সাড়ে তিন মাসেরও বেশি সময় পর গতকাল শনিবার কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। সেখান থেকে মানুষের দান হিসেবে দেড় কোটির বেশি অর্থ পাওয়া গেছে। ছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক থেকে এবার ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে গণনা শেষে টাকার এই হিসাব পাওয়া যায়।

বিপুল পরিমাণ এই দানে নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। এবার ১১১ দিন পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। গতকাল সকাল নয়টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। সিন্দুক থেকে টাকা বস্তায় ভরা হয়। পরে শুরু হয় টাকা গণনার কাজ।

এর আগে সর্বশেষ গত ২৬ অক্টোবর দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন ১ কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

টাকা গণনা কাজ তদারকি করেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পাগলা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ পারভেজ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আতাউর রহমান, মসজিদ কমিটির সদস্য সাইফুল হক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফজলে রাব্বি, মীর আল কামাহ তমাল, মো. উবায়দুর রহমান ও শফিকুল ইসলাম, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা প্রমুখ।

মসজিদ কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়। সিন্দুক থেকে টাকা খুলে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী গণনা। গণনায় মসজিদ মাদ্রাসার ৬০ জন ছাত্র-শিক্ষক ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা অংশ নেন। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটেরা টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।

প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দান সিন্দুকগুলোয় নগদ টাকাপয়সা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে এই মসজিদের অবস্থান। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। এ মসজিদের আয় দিয়ে কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের আয় থেকে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে ও জটিল রোগীদের চিকিৎসায় ব্যয় করা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খুলে এবার ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের মুদ্রাসহ বেশ কিছু স্বর্ণালংকার পাগলা মসজিদের দান বাক্সে জমা পড়েছে। এখানে ১০০ কোটির টাকার বেশি অর্থ দিয়ে বড় আকারের পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে বলে তিনি জানান।