পলাশে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার দুই আসামির ডিএনএ পরীক্ষা

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে স্বামীকে মারধর করে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামির ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূরও ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। গত শনিবার থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত এই তিনজনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনার ২৪ দিন পেরিয়ে গেলেও মামলার আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ওই আসামির কথিত নাম ‘ওপেনার’। এমনকি ওপেনারের প্রকৃত নামও জানাতে পারেনি পুলিশ। দীর্ঘ সময় ধরে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ধর্ষণের শিকার ওই নারী ও মামলার বাদী তাঁর স্বামী।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী ও তাঁর স্বামী দুজনই কর্মজীবী। ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্বামী–স্ত্রী ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলওয়ে স্টেশনে ঘুরতে যান। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে রাজীব, রিফাতসহ তিনজন তাঁদের কাছে এসে জানতে চান, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী কি না। পরে যাচাইয়ের নামে তাঁদের দুজনকে নির্জন স্থানে যেতে বলেন। তাঁরা যেতে না চাইলে ওই নারীর স্বামীকে মারধর করা হয়। স্টেশন থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে টান ঘোড়াশাল রেলস্টেশনের কাছাকাছি একটি নির্জন স্থানে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দুই রেললাইনের মাঝের খালি জায়গায় ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন ওই তিনজন

ঘটনার পরপরই রেলওয়ে পুলিশ ঘোড়াশাল পৌর এলাকার মো. রাজীব (৩০) ও চামড়াবো বাজার এলাকার মো. রিফাত হোসেনকে (২০) গ্রেপ্তার করে। তবে ঘটনার পর থেকেই ওপেনার গা–ঢাকা দেন। ধর্ষণের ঘটনার পরদিন ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা হয়। মামলায় ওই তিন যুবককে অভিযুক্ত করা হয়। মামলার বাদী ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী।

মামলার বাদী বলেন, ‘ওপেনারকে পুলিশ কেন ধরতে পারছে না, কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার স্ত্রী জানতে চাইলে কোনো উত্তর দিতে পারি না। ওপেনার গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আমার ও আমার স্ত্রীর ভালো ঘুম হবে না।’

মামলার তদন্ত করছেন নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমায়েদুল জাহেদী। মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরই মধ্যে দুই আসামি ও ভুক্তভোগীর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন ওপেনারকে ধরার জন্য অভিযান চলছে।

ওপেনারকে ধরতে সময় লাগার কারণ জানতে চাইলে ইমায়েদুল জাহেদী বলেন, প্রথমত, ওপেনার ওই যুবকের মূল নাম নয়। ঘোড়াশাল এলাকার মানুষ তাঁকে এই নামে ডাকে। দ্বিতীয়ত, এই মামলায় ওপেনারকে আসামি করা হয়েছে, সেটি হয়তো ওপেনার জেনে গেছেন। ফলে তিনি নিজে খুব বেশি সতর্ক হয়ে গেছেন। এসব কারণে ওপেনারকে ধরতে সময় লাগছে। শিগগিরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন