পদ্মা পাড়ি দিয়ে মাওয়ায় নাশতা, খুলনায় ফিরে মধ্যাহ্নভোজ
জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনের পর ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের ভিড় জমেছে পদ্মা সেতুতে। আজ রোববার দিনের শুরু থেকে মাওয়া টোল প্লাজা এলাকায় দীর্ঘ সারি ছিল ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের। যাঁরা টোল দিয়ে সেতুতে ওঠেন, তাঁদের মধ্যে ছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস।
সকালে মাওয়া টোল প্লাজা এলাকায় দেখা যায়, পণ্যবাহী ট্রাকের পাশাপাশি বাস, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারে দীর্ঘ সারি। বিভিন্ন স্থান থেকে দল বেঁধে বাস, প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে এসেছেন পদ্মা সেতুতে। দলগতভাবে ছবি তুলছেন টোল প্লাজা এলাকায়।
এমনি একটি দলকে দেখা যায় মাওয়া টোল প্লাজার কিছুটা সামনে। তাঁরা এসেছিলেন একটি বিমা কোম্পানি থেকে। তাঁদের একজন শাহাবুদ্দিন হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা থেকে সকাল সাতটায় রওনা হন। মাত্র দুই ঘণ্টায় মাওয়া এসে পৌঁছান। এখানে এসে নাশতা করেছেন এবং গ্রুপ ছবি তুলে আবার খুলনায় গিয়ে দুপুরের খাবার খাবেন।
টোল পরিশোধ করে পদ্মা সেতুর দিকে যাচ্ছিলেন ফারুকী সুরেশ্বরী নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) রাতে ঘুমাতে পারিনি—কখন সকালের আলো ফুটবে আর আমি ছুটে যাব পদ্মার বুক দিয়ে।’
ইউটিউবার রুবায়েত রুবা বলেন, সকালে মহাসড়কে গাড়ির চাপ ছিল। সব চাপ পেছনে ফেলে টোল পরিশোধ করে সেতুতে ওঠেন। সেতু ঘুরে শরীয়তপুরে যাবেন। আবার সেখান থেকে মাওয়া হয়ে ঢাকায়।
দুপুর ১২টার দিকেও পদ্মা সেতুর ওপরে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়। কেউ কেউ সেলফি তুলছিলেন। এক দর্শনার্থী বলেন, ‘অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল পদ্মা সেতু দেখার। স্বপ্নের সেতুতে উঠতে পেরেছি। সেতু দেখেছি। পায়ে হেঁটেছি। এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’