পটুয়াখালীতে শ্বাসকষ্টে মৃত্যু, করোনা সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ
পটুয়াখালী শহরে সর্দি–কাশি ও শ্বাসকষ্টে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে জেলা শহরের টাউন কালিকাপুর এলাকায় তিনি মারা যান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সিভিল সার্জন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির বয়স ৬৫। তাঁর বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামে। তিনি ভ্যানচালক ছিলেন।
মৃত ব্যক্তির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসার জন্য তিন সপ্তাহ আগে তিনি জেলা শহরের টাউন কালিকাপুর এলাকায় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আসেন। গতকাল শনিবার বিকেলে তাঁর মৃত্যুর পর তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। এ খবর পেয়ে রাতে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়।
মারা যাওয়া ব্যক্তির জামাতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর শ্বশুর অসুস্থ ছিলেন। সর্দি-কাশি-শ্বাসকষ্টের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী তাঁকে ওষুধও খাওয়ানো হয়েছিল। কিন্তু গতকাল বিকেলে তাঁর শ্বশুর মারা যান। এলাকাবাসীর সন্দেহ হওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা এসে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাঁর শ্বশুরের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। রাত ১০টার দিকে তাঁরা তাঁর শ্বশুরের লাশ পটুয়াখালীতেই তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেছেন।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মৃত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় লোকজন খবর দিলে তাঁর মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।