নোয়াখালীতে বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৭

অপরাধ
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী এক কাউন্সিলর প্রার্থীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। রোববার রাত আটটায় দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ফখরুদ্দিন মাহমুদের সোনাপুর বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাইসহ সাতজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে পুলিশ হামলার ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।

হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন মো. সাব্বির (২৬), রিয়াজ হোসেন (২২), মো. হৃদয় (২০), মো. ইসমাইল হোসেন (৩০), মো. রাহিম (২৮), মো. মিলন (২৪) ও মো. শান্ত (২৬)। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকি চারজনকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফখরুদ্দিন মাহমুদ অভিযোগ করেন, রোববার অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে তিনি তৃতীয়বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিয়াজুর রহমান ওরফে মিঠুকে ১ হাজার ৮০০ ভোটে পরাজিত করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। রাত আটটার দিকে তাঁর সমর্থক ও এলাকাবাসী ফুলের মালা দিতে তাঁর বাড়িতে আসেন। ওই সময় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক কামাল উদ্দিন ওরফে সিএনজি কামালের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তাঁরা এ সময় বাড়িতে থাকা তাঁর একটি পিকআপভ্যান, সাউন্ড বক্স ও তিনটি দোকানে ভাঙচুর চালায়। এ হামলায় তাঁর ভাইসহ সাতজন আহত হয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে নোয়াখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিয়াজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। রিয়াজুর রহমানের পক্ষের কামাল উদ্দিনের মুঠোফোনে কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। তাই ঘটনার বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থী ফখরুদ্দিন মাহমুদের বাড়িতে পরাজিত প্রার্থীর লোকজনের হামলা-ভাঙচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে হামলা-ভাঙচুরে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় বিজয়ী প্রার্থী থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।