নোয়াখালীতে কলেজছাত্রী হত্যা মামলার আসামিকে রিমান্ডে চায় পুলিশ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় কলেজছাত্রী শাহনাজ পারভীন ওরফে প্রিয়তা (২১) হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামকে (৩০) আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে তাঁকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বসুরহাট এলাকা থেকে সন্দেহভাজন আসামি ফখরুল ইসলামকে আটক করে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ। তাঁর বাড়ি উপজেলার চরকাঁকড়া এলাকায়।
শাহনাজ হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি ফখরুল ইসলামকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ রোমন। আজ সকালে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, সন্দেহভাজন আসামিকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর কথাবার্তায় বেশ কিছু অসংলগ্নতা পাওয়া গেছে। তাই তাঁকে শাহনাজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।
গত রোববার সকালে কোম্পানীগঞ্জের সরকারি মুজিব কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্রী ও স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের শিক্ষানবিশ নার্স শাহনাজ পারভীন বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁর নানার বাড়ি থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হন। রাত আটটার দিকে কাজ শেষে বাড়িতে ফেরার কথা থাকলেও তিনি ফেরেননি। ফোন করে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন সকালে নানার বাড়ি থেকে অল্প দূরে একটি পরিত্যক্ত ধানখেতে তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। লাশের মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় শাহনাজের বাবা নবী হোসেন বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেছেন।