নীলফামারী থেকে খুলনা পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেন চালু
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি থেকে খুলনা পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেন চালু করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল নয়টায় চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। করোনা পরিস্থিতিতে রেল যোগাযোগ বন্ধ হওযার পর এ পথে কৃষিসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহনে চালু হওয়া ট্রেনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘চিলাহাটি পার্সেল স্পেশাল খুলনা’।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ট্রেনটি সকাল নয়টায় খুলনা রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশনে পৌঁছায় রাত ৮টা ৪০ মিনিটে। আজ শুক্রবার সকাল নয়টায় সেটি চিলাহাটি থেকে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ পথে ট্রেনটির যাত্রাবিরতি রয়েছে ডোমার, নীলফামারী, সৈয়দপুর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট, জামালগঞ্জ, আক্কেলপুর, তিলকপুর, সান্তাহার, আহসানগঞ্জ, নলডাঙ্গা, নাটোর, আব্দুলপুর, ঈশ্বরদী, ভেড়ামারা, পোড়াদহ, আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা, দর্শনা, আনসারবাড়িয়া, সাফদারপুর, কোটচাঁদপুর, যশোর, নওয়াপাড়া, দৌলতপুর ও খুলনা স্টেশনে। একই সঙ্গে বিরতি না থাকা স্টেশনে পরিবহনযোগ্য মাল থাকলে সংশ্লিষ্ট স্টেশনমাস্টারকে আগাম জানালে সেখান থেকে পণ্য তুলে নেওয়া হবে। যাত্রা শেষে ট্রেনটি খুলনায় পৌঁছাবে রাত সাড়ে আটটায়।
ট্রেনটির যাত্রার শুরুতে মাল পরিবহনে ব্যাপক সাড়া পড়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। শুক্রবার চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে ১০০ কেজি ওজনের ২৮ বস্তা কাঁচা মরিচ, ৫০ কেজি ওজনের ১০ বস্তা সুপারি ও ৩০ কেজি ওজনের ছয় প্যাকেট টমেটো, ডোমার স্টেশন থেকে ৭০ কেজি ওজনের ৩৮ বস্তা কাঁচা মরিচ ও এক বান্ডেল বাঁশের চাটাই, নীলফামারী রেলস্টেশন থেকে ৭০ কেজি ওজনের পাঁচ বস্তা কাঁচা মরিচ, ১০০ কেজি ওজনের দুই বস্তা আদা, ১০টি পোনা মাছের ড্রাম ও একটি পরিবারের বিভিন্ন আসবাবপত্র, সৈয়দপুর রেলস্টেশন থেকে ৭০ কেজি ওজনের ২৮ বস্তা কাঁচা মরিচ ও ৩০ বস্তা নতুন বাইসাইকেলের যন্ত্রপাতি পরিবহন করেন ব্যবসায়ীরা। এসব পণ্য খুলনা, দৌলতপুর, যশোর, ঈশ্বরদী, দর্শনা ও চুয়াডাঙ্গা যাবে।
নীলফামারী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মারুফ জামান বলেন, বিশেষ ওই পার্সেল ট্রেনটি প্রতিদিন উভয় দিক থেকে চালু রাখা গেলে ব্যবসায়ীরা বেশি উপকৃত হতেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল আওয়াল বলেন, খাদ্যসহ জরুরি পণ্য বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতে রেলের এই পার্সেল ট্রেনটি চালু করা হয়েছে। ট্রেনটিতে রয়েছে পাঁচটি লাগেজ ভ্যান ও একটি ব্রেকভ্যান। চাহিদা থাকলে আরও লাগেজ ভ্যান যুক্ত করা হবে। প্রতি সপ্তাহে ট্রেনটি খুলনা থেকে শনিবার ও চিলাহাটি থেকে রোববার বন্ধ থাকবে। তবে ট্রেনটিতে কোনো যাত্রী পরিবহন করা হবে না।