নিখোঁজের দুদিন পর সরিষাবাড়ীতে নদ থেকে বাবা-মেয়ের লাশ উদ্ধার

আব্দুল আজিজ ও তার মেয়ে জান্নাতের লাশ উদ্ধারের পর স্বজনদের শোকের মাতম। ছবিটি জামালপুরের সরিষাবাড়ীর থানার সামনে থেকে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

নিখোঁজের দুই দিন পর জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার একটি নদ থেকে বাবা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ঝিনাই নদের কৃষ্টপুর এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। নিহত আবদুল আজিজ (৪০) ও তাঁর মেয়ে জান্নাত (৫) উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের বয়সিং গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের বয়সিং গ্রামের দুই ভাই আজাহার আলী ও খোরশেদ আলমের মধ্যে এক বছর ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। বিরোধের জের ধরে ২৩ মার্চ তাঁদের দুজনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে মারামারি হয়। এ নিয়ে থানায় পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়েছে। পারিবারিক এ দ্বন্দ্বে নিহত আবদুল আজিজ তাঁর ভাই খোরশেদ আলমের পক্ষ নিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার আবদুল আজিজসহ মামলার অন্য আসামিরা আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন নিয়ে বাড়ি ফেরেন। রাতে এই পরিবারের দুই পক্ষের মধ্যে ফের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। সংঘর্ষের পর আবদুল আজিজ ও তাঁর মেয়ে জান্নাত নিখোঁজ হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ঝিনাই নদের কৃষ্টপুর এলাকায় পানিতে বাবা-মেয়ের লাশ ভাসতে দেখে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে বাবা-মেয়ের লাশ শনাক্ত করে। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানার পুলিশ বাবা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বয়সিং এলাকা থেকে আজহার আলীর দুঃসম্পর্কের চাচা পীর মাহমুদ, ভাইয়ের পুত্রবধূ মর্জিনা বেগম, কাজুলী বেগম ও সোমা বেগমকে আটক করেছে।

নিহত আবদুল আজিজের ছোট ভাই আজিজুল হক বলেন, ‘আমার ভাই ও ভাইয়ের পাঁচ বছরের মেয়েকে আজহার ও তাঁর জামাতা মুহাম্মদ আলী মাইরে পানিতে ফালাইছে। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই।’

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রকিবুল হক প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ বাবা-মেয়ের লাশ ঝিনাই নদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। চারজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।