নিখোঁজের চার দিন পর গড়াই নদে মিলল সাংবাদিকের লাশ

নিহত হাসিবুর রহমানের স্বজনদের আহাজারি। বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেবাড়িয়া এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

নিখোঁজের চার দিন পর সাংবাদিক হাসিবুর রহমান ওরফে রুবেলের (৩১) লাশ ভাসতে দেখা যায় গড়াই নদে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেবাড়িয়া এলাকায় নির্মাণাধীন গোলাম কিবরিয়া সেতুর নিচে গড়াই নদ থেকে তাঁর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত হাসিবুর কুষ্টিয়া জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ঠিকাদার ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এ ব্লক এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৩ জুলাই হাসিবুর রহমান রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের সিঙ্গার মোড়ে তাঁর পত্রিকা অফিসে ছিলেন। মুঠোফোনে কল পেয়ে তিনি অফিস থেকে থেকে বের হয়ে যান। এর পর থেকে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।

এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করে তাঁর পরিবার। আজ বেলা দেড়টার দিকে সেতুর নিচে তাঁর লাশ ভেসে ওঠে। তাঁর পরনের জামাকাপড় ও মানিব্যাগে থাকা পরিচয়পত্র দেখে পরিবারের লোকজন তাঁকে শনাক্ত করেন।

নিহত হাসিবুরের ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’

নিহত সাংবাদিক হাসিবুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।

পাবনার ঈশ্বরদী নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক বলেন, অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গলায় একটি রশি প্যাঁচানোর মতো দাগ পাওয়া গেছে। তবে এখনই নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।