নারায়ণগঞ্জে পোশাকশ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত ১০

সড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশের তৎপরতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

বকেয়া বেতনের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে আহত শ্রমিকদের নাম জানা যায়নি।

কারখানার শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকায় রূপসী গার্মেন্টসে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক কাজ করেন। কারখানার শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বেতন বকেয়া। গতকাল বুধবার ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেতন পরিশোধ করা হয়নি। ফলে আজ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রমিকেরা কারখানায় এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা কারখানা থেকে রাস্তায় নেমে আসেন।

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কের শিবু মার্কেট এলাকায় অবরোধ করে রাখেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে আট কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এদিকে কারখানা কর্তৃপক্ষ ৭ এপ্রিল বেতন দেওয়ার আশ্বাস দিলেও শ্রমিকেরা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসানসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

কারখানার সুইং অপারেটর আকলিমা বলেন, মালিকপক্ষ দুই মাসের বেতন বকেয়া রেখেছে। বেতনের দাবিতে শেষ পর্যন্ত তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন। পোশাকশ্রমিক নন্দিনী বেগম বলেন, শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান না করে পুলিশ শটগান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। পুলিশের হামলায় তাঁদের কয়েক শ্রমিক আহত হয়েছেন।

কারখানার সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. নাছির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকেরা আজকের মধ্যে বেতনের দাবি করলেও সেটা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, বিপুলসংখ্যক শ্রমিকের বেতনের সঙ্গে ব্যাংকিংসহ অন্য অনেক বিষয় আছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু বলেন, শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে গেলে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশও পাল্টা বেশ কিছু কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়েছে। এতে শ্রমিকেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পরে বেলা দুইটার দিকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন