নাটোরে ছাত্রীনিবাস থেকে ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
নাটোর শহরের কারবালা এলাকার একটি ছাত্রীনিবাস থেকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রীর নাম মোছা. মৌমিতা খাতুন (২৪)। তিনি নাটোরের বনপাড়া পৌর শহরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা অনার্স কলেজে সম্মান শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর বাড়ি জেলার সিংড়া উপজেলার আয়েশ গ্রামে। বাবার নাম মো. মাহবুবুর রহমান।
অন্যান্য আবাসিক ছাত্রী ও নাটোর সদর থানা সূত্রে জানা যায়, মৌমিতা খাতুন শহরের কারবালা এলাকার মহসিন আলীর মালিকানাধীন মৃদুলা ছাত্রীনিবাসের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সকাল থেকে মৌমিতা দরজা বন্ধ করে তাঁর কক্ষে ছিলেন। বিকেল হয়ে যাওয়ার পরও তিনি বাইরে না আসায় অন্যান্য ছাত্রীদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি ছাত্রীনিবাসের মালিককে জানালে তিনি এসে দরজা নাড়লেও ভেতর থেকে দরজা না খুললে পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখে, গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছেন মৌমিতা। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
গতবার সম্মান শেষ বর্ষে পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় এবার আবার পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মৌমিতা। এর মধ্যে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় তিনি বাবার বাড়িতে তেমন একটা থাকতেন না।
মৌমিতার বাবা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, তাঁর মেয়ে শহরের রানী ভবানী সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে বনপাড়ায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা অনার্স কলেজে সম্মানে পড়ালেখা করতেন। গতবার সম্মান শেষ বর্ষে পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় এবার আবার পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর মধ্যে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় তিনি বাবার বাড়িতে তেমন একটা থাকতেন না।
নাটোর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মতিন জানান, নিহত মৌমিতা খাতুনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। বিছানার ওপর ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় লাশ ঝুলছিল। এতে প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে। এ ব্যাপারে সদর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।