নাছিরের ফাঁসি চাইলেন সাংসদ মোশাররফ
আওয়ামী লীগের নেতা হারুন বশর ও জমির উদ্দিন হত্যা মামলায় আসামি নাছির উদ্দিনের ফাঁসি চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাংসদ মোশাররফ হোসেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান। আওয়ামী লীগের নেতা হারুন বশর ও জমির উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি শিবির ক্যাডার নাছির বর্তমানে চট্টগ্রামে কারাগারে রয়েছেন। এই মামলার একজন সাক্ষী মোশাররফ হোসেন। নাছিরের বিরুদ্ধে কেউ সাক্ষী দিচ্ছেন না, স্থানীয় একটি দৈনিকে প্রকাশিত এমন সংবাদের পর মোশাররফ হোসেন এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এই মামলায় নিজে সাক্ষ্য দিয়েছেন উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। আমি ভুক্তভোগী। আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমি সাক্ষ্য দিয়েছি। প্রয়োজনে আবার দেব। নাছিরের মতো সন্ত্রাসীদের ফাঁসি হওয়া উচিত।’
মোশাররফ হোসেন সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ৮ মে, ১৯৯২ সাল। বিএনপি তখন ক্ষমতায় আর তাদের লালিত-পালিত হচ্ছে জামায়াত-শিবির। ফটিকছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন চলছিল। বেলা একটার দিকে শিবিরের একটি সশস্ত্র বাহিনী এসে আক্রমণ চালায়। ছাত্রলীগের কর্মী জমির উদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর পুলিশের সামনে দিয়ে তারা চলে যায়। কিন্তু পুলিশ কিছুই করেনি বলে দাবি তাঁর। সেদিন সন্ধ্যায় মোহাম্মদ ত্বকীর হাটে শিবিরের সন্ত্রাসীরা তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করে ও ব্রাশফায়ার করে হারুন বশরকে খুন করল। তাঁর ওপরও হামলা হয়েছিল। তবে তিনি পালিয়ে বাঁচেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, সাক্ষীর অভাবে শাস্তি হচ্ছে না, এই বক্তব্য ঠিক নয়। নাছির এক নম্বর আসামি। একটা কথা আছে, জাস্টিস ডিলেইড, জাস্টিস ডিনাইড। বিচার বিলম্বিত হলে বিচার পাওয়া না-পাওয়া সমান কথা। তিনি বিচার প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত না করে দোষী ব্যক্তির শাস্তি প্রার্থনা করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, কারও না কারও গাফিলতির কারণে বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। যার কারণে হচ্ছে, তার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত।’
সংবাদ সম্মেলনে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সাংসদ খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, সহসভাপতি পেয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, জসিম উদ্দিন শাহ, সদস্য বেদারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।