নরসিংদীতে মাদক ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা

হত্যা
প্রতীকী ছবি

নরসিংদী শহরের কাউরিয়াপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি চাপাতির কোপে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের কাউরিয়াপাড়ার হোসেন বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, এলাকায় মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসলাম মিয়া (৫৫)। তিনি শহরের কাউরিয়াপাড়ার চৈতালপাড়া এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে।

স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, কাউরিয়াপাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি পক্ষ মাদক ব্যবসায় জড়িত। এর একটির নাম ইসলাম গ্রুপ। বেশ কিছুদিন ধরে এই গ্রুপের প্রধান মো. ইসলাম মিয়ার সঙ্গে তাঁরই সহযোগী দেলোয়ার মিয়ার দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরে আজ সকালে মো. ইসলাম মিয়ার লোকজন দুই নারীসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেন। এর জেরেই সন্ধ্যায় মো. ইসলাম মিয়াকে একা পেয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, আজ সন্ধ্যার একটু আগে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে কাউরিয়াপাড়া পানির ট্যাংকির সামনে এসে নামেন ইসলাম। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত তাঁকে লক্ষ্য করে এগিয়ে আসে। তাঁদের হাত থেকে বাঁচতে তিনি দৌড় দেন। দৌড়ের মধ্যেই তাঁকে লক্ষ্য করে চাপাতি ছুঁড়ে মারেন দুর্বৃত্তদের একজন। ওই চাপাতি তাঁর শরীরে আঘাত করে। এই অবস্থাতেই তিনি দৌড়ে পার্শ্ববর্তী হোসেন বাজারে চলে যান। দুর্বৃত্তরাও এ সময় তাঁর পিছু পিছু সেখানে চলে আসেন। কঠোর লকডাউন চলমান থাকার কারণে সেখানে তেমন লোকজন ছিল না। এই সুযোগে সেখানে ওই দুর্বৃত্তরা তাঁর সারা শরীরে চাপাতি দিয়ে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে।

ইসলামের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবদী এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাদিরুল আমিন জানান, ওই ব্যক্তির সারা শরীরে উপর্যুপরি ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাঁকে রাজধানী ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। পরে জেনেছেন ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা গেছেন। প্রাথমিকভাবে বলা যায়, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম জানান, এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিহত ইসলামের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তদন্ত শেষে এই বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।