নকল সোনার বার দিয়ে নারীর সঙ্গে প্রতারণা, আটক ২

র‍্যাবের হাতে আটক বাদল চৌহান ও মো. ফেরদৌস
ছবি: সংগৃহীত

যাত্রী সেজে আগে থেকেই সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বসে ছিল সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। ওই অটোরিকশায় ওঠেন এক নারী যাত্রী। উদ্দেশ্য ময়মনসিংহের পাটগুদাম বাস টার্মিনাল থেকে ফুলপুর। যাত্রা শুরুর পর ওই নারী যাত্রীকে কুড়িয়ে পাওয়া একটি সোনার বারের কথা বলেন এক প্রতারক। লোভে পড়ে ওই নারী নিজের কানের দুল, সোনার চেইন ও মুঠোফোনের বিনিময়ে সোনার বার নিয়ে নেন। পরে বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন।

সোনার বার নিয়ে যাত্রাপথে যাত্রী সেজে এমন প্রতারণার অভিযোগে ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১৪। গ্রেপ্তারের পর ওই নারী যাত্রীর সঙ্গে সোনার বার নিয়ে প্রতারণার তথ্য জানতে পারে র‍্যাব। গতকাল সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আজ র‍্যাব–১৪–এর সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসাইন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

র‍্যাবের হাতে আটক দুই প্রতারক হলেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের বাদল চৌহান ও দিঘারকান্দা এলাকার মো. ফেরদৌস। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতারণার শিকার ওই নারীর নাম মোছা. রোকসানা (৪২)। তাঁর বাবার বাড়ি ময়মনসিংহের কৃষ্টপুর এলাকায়। গতকাল দুপুরে ময়মনসিংহ থেকে ফুলপুরের গোমগাঁও গ্রামে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার পথে প্রতারণার শিকার হন তিনি। রোকসানার স্বামীর নাম শফিকুল ইসলাম।

রোকসানার বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, প্রতারক বাদল চৌহান সোনার বার কুড়িয়ে পাওয়ার গল্প ফাঁদেন। ওই গল্পে প্রলুব্ধ হয়ে রোকসানা নিজের কানের দুল, সোনার চেইন ও মুঠোফোনের বিনিময়ে সোনার বার যখন হাতে নেন; সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি তখন ময়মনসিংহ শহর পেরিয়ে শম্ভুগঞ্জ এলাকায়। সোনার বার দুটি হাতে নিয়ে রোকসানা বুঝতে পারেন, এগুলো নকল। পরে তিনি সোনার বার ফিরিয়ে দিয়ে স্বর্ণালংকার ও মুঠোফোন ফেরত চাইলে শম্ভুগঞ্জ এতিমখানা এলাকায় বাদল চৌহান অটোরিকশা থেকে নেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। রোকসানা অটোরিকশা থেকে নেমে বাদলকে ধরে ফেলেন। তখন স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে বাদলকে আটক করেন। এ সময় র‍্যাব–১৪–এর একটি দল ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ছিল। খবর পেয়ে র‍্যাব গ্রামবাসীর সহযোগিতায় বাদল ও ফেরদৌসকে আটক করে। এ ঘটনায় ব্যবহার হওয়া অটোরিকশাটিও জব্দ করেছে র‍্যাব।

র‍্যাব আরও জানায়, এ ঘটনায় নকল দুটি সোনার বারসহ দুজন আটক হলেও বাকি দুজন রোকসানার স্বর্ণালংকার ও মুঠোফোন নিয়ে পালিয়ে যান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন।