নওগাঁয় করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৪৮
নওগাঁ জেলায় গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫১। আজ রোববার সকালে নওগাঁর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ৪৮ ঘণ্টা করোনায় মৃত্যুহীন দিন পার করেছিল নওগাঁ। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ২১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যাতে শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৩২ শতাংশ। এর আগে ২৪ ঘণ্টায় ২৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
নওগাঁ সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুজন হলেন,বদলগাছি উপজেলার খলসি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৩৫) ও আত্রাই উপজেলার চৌরবাড়ি গ্রামের রাজিয়া বেগম (৬৮)। গত বৃহস্পতিবার দেলোয়ার হোসেন ও রাজিয়া বেগমের করোনা শনাক্ত হয়। গতকাল বিকেলে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয়। গতকাল রাতে নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় করোনায় আক্রান্ত রাজিয়া বেগমের।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৪৮ জনের মধ্যে সাপাহার উপজেলায় ১০, নিয়ামতপুরে ৯, নওগাঁ সদর, রানীনগর ও মান্দায় ৫ জন করে, মহাদেবপুর ও পত্নীতলায় ৪ জন করে এবং বদলগাছি ও পোরশায় ৩ জন করে শনাক্ত রয়েছেন।
নওগাঁয় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ২৩ এপ্রিল। এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৭৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৮৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ফোকাল পার্সন ও ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ মোর্শেদ প্রথম আলোকে বলেন, এক সপ্তাহ ধরে জেলায় করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দেখা গেছে, সংক্রমণের হার ২০ থেকে ২৫ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। তবে প্রতিদিন যে পরিমাণ নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে, তার চেয়ে আরও বেশি নমুনা সংগ্রহ করতে পারলে সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে বোঝা যেত। নমুনা দিতে মানুষের অনাগ্রহের পাশাপাশি জেলায় আরটি-পিসিআর ল্যাব না থাকা এবং স্বাস্থ্য বিভাগের জনবলসংকটের কারণে নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে। প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০টি নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে। এ সংখ্যা অন্তত ৬০০ থেকে ৭০০ হলে ভালো হতো।