ধুনটে বিদ্রোহী প্রার্থীর এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ
বগুড়ার ধুনট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ জি এম বাদশাহর এজেন্ট সেলিম হোসেনকে নির্বাচনের দিন আজ শনিবার মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টি আই এম নুরুন্নবী তারিকের ভাগনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে সেলিমকে মারধরের ওই অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল আটটা থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ধুনট পৌরসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, নয়টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন এবং নারী কাউন্সিলর ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী টি আই এম নুরুন্নবী তারিক, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এ জি এম বাদশাহ, বিএনপির প্রার্থী ধুনট পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আলিমুদ্দীন হারুন মণ্ডল ও কমিউনিস্ট পাটির নেতা সাহা সন্তোষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট, নয়জন করে পুলিশ সদস্য ও নয়জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন আছে। এ নির্বাচনে পৌরসভার চরধুনট ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ জি এম বাদশাহর পক্ষে নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে সেলিম হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ অবস্থায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মতিউর জোর করে কেন্দ্রে ঢুকে সেলিমকে মারধর করেন। এএ
এদিকে কেন্দ্রে অনধিকারভাবে প্রবেশ করার অভিযোগে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে শ্রমিক লীগের নেতা মুনজুরুল ইসলাম (৪০) ও উজ্জ্বল হোসেন (২৫) নামের দুজনকে আটক করে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত মুনজুরুল ইসলাম ও উজ্জ্বল হোসেনকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
নির্বাচন কেন্দ্র দায়িত্বপ্রাপ্ত ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন মিয়া জানান, মতিউর জোর করে কেন্দ্রে ঢুকে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করার অভিযোগে সেলিমকে মারধর করেন।
ঘটনার পর থেকে মতিউর পলাতক। এ কারণে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।