ধসে পড়েছে প্রাচীর, ভবনও জরাজীর্ণ

মৌলভীবাজারের বড়লেখা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানার নিরাপত্তাপ্রাচীরের প্রায় ৭০ ফুট অংশ ধসে পড়ে। গত শুক্রবার বিকেলেপ্রথম আলো

মৌলভীবাজারের বড়লেখা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানার পশ্চিম দিকের নিরাপত্তাপ্রাচীরের প্রায় ৭০ ফুট অংশ ধসে পড়েছে। গত শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে দেয়ালটি ধসে পড়ে। এদিকে আদালত ভবনটিও জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

এর আগে চলতি বছরের ২৮ মে আদালতের হাজতখানার উত্তর দিকের নিরাপত্তাপ্রাচীরের প্রায় ৩০ ফুট অংশ ধসে পড়েছিল। এতে হাজতখানা অরক্ষিত হয়ে পড়লে থানা-পুলিশের উদ্যোগে ওই অংশে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে।

বড়লেখা আদালত পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে আদালতের হাজতখানার পশ্চিম দিকের নিরাপত্তাপ্রাচীরের প্রায় ৭০ ফুট অংশ ধসে পড়ে। এ সময় আদালত এলাকায় মামলার আলামত হিসেবে রাখা দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ইটের নিচে চাপা পড়ে। এ সময় প্রাচীরের কাছে লোকজন না থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় বড়লেখা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পুলিশের উপপরিদর্শক (সিএসআই) মো. মুজিবুর রহমান শুক্রবার রাতেই বড়লেখা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

সিএসআই মুজিবুর বলেন, নিরাপত্তাপ্রাচীর ভেঙে পড়েছে। এতে মামলার সংরক্ষিত আলামত রক্ষণাবেক্ষণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভবন ও দেয়াল অনেক পুরোনো। ঝুঁকি নিয়ে এখানে কাজ চলছে।

জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, আইনজীবী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে বড়লেখায় এই আদালত ভবন নির্মাণ করা হয়। নিরাপত্তাপ্রাচীরটিও সেই সময়ে নির্মিত। বর্তমানে ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায়ই জরাজীর্ণ ভবনের ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। বিচারকার্য চলাকালীন পলেস্তারা ও খোয়া ভেঙে আইনজীবীদের ওপর পড়ারও ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ভবনের দেয়াল, ছাদ, পিলারের বিভিন্ন স্থানে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে বিভিন্ন দিকে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। এতে বিচারাধীন মামলার মূল্যবান নথিপত্র ও জব্দ করা আলামত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ ছাড়া ভবনটিতে মহিলা হাজতখানায় বসবাস করছেন আদালতের স্টাফ ও পুলিশ সদস্যরা।

আদালতের সহকারী আইন কর্মকর্তা (এপিপি) গোপাল দত্ত গতকাল শনিবার বলেন, অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হচ্ছে। নতুন আদালত ভবন ও নিরাপত্তাপ্রাচীর নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। তা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।