ধর্ষকদের প্রতীকী ফাঁসি দিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে ধর্ষকদের প্রতীকী ফাঁসি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা
ছবি: প্রথম আলো

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যালয়ের ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এর অংশ হিসেবে এবার জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শা‌স্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়ে প্রতীকীভাবে তা কার্যকর করলেন তাঁরা। প্রতীকী বিচারক ও জল্লাদ এ রায় কার্যকর করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ প্রতীকী গণফাঁসি কার্যকর করা হয়। এর আগে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করা হয়। ফাঁসি কার্যকরের জন্য মোটা দড়ি আনা হয়। ওই দড়ি দিয়ে তৈরি করা হয় ছয়টি ফাঁস। ছয় প্রতীকী ধর্ষককে ফাঁসির মঞ্চে তোলা হয়। এরপর প্রত্যেকের মাথা কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা। কার্যকর করা হয় প্রতীকী ফাঁসি।

ফাঁসির রায় কার্যকর করতে জল্লাদের দায়িত্ব পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং( ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাসান হৃদয়। বিচারক হিসেবে ছয় ধর্ষকের ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শেখ ফাহিম। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ফাঁসির দড়ি নিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শ আন্দোলনরত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

গত বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ শহরের হেলিপ্যাড থেকে নবীনবাগে তাঁর মেসে ফিরছিলেন। এ সময় পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত তাঁদের গতিরোধ করে। বন্ধুকে মারপিট করে ওই ছাত্রীকে পার্শ্ববর্তী নবনির্মিত জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজ ভবনের মধ্যে নিয়ে পালক্রমে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাতে ছাত্রী ধর্ষণের খবর ক্যাম্পাসে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

এ ঘটনায় করা মামলায় এখন পর্যন্ত নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে র‍্যাব গ্রেপ্তার করেছে ছয়জনকে, পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তিনজনকে। গ্রেপ্তার সবাইকে আজ বেলা তিনটার দিকে গোপালগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়েছে।