ধরমপাশায় ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ

বাল্যবিয়ে
প্রতীকী ছবি

বিয়ের সব আয়োজনই ছিল সেখানে। কনের বাড়িতে বরযাত্রীকে স্বাগত জানাতে বাড়ির সামনে তৈরি করা হয় গেট। আপ্যায়নের জন্য ছিল সুস্বাদু খাবারের আয়োজন। আজ শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে ৩০-৪০ জন বরযাত্রী কনের বাড়িতে এসে উপস্থিত হন। চলছিল বরযাত্রী ও অতিথিদের আপ্যায়নের প্রস্তুতি। বিয়ের নিবন্ধনের জন্য কাজিকেও ডেকে আনা হয়।

তবে বিপত্তি বাধে কনের বয়স নিয়ে। কনে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী (১৫)। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসানের নির্দেশে ওই স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ বেলা সোয়া ৩টার দিকে সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীর (১৫) সঙ্গে একই উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়নের গলহা গ্রামের এক যুবকের (২৪) বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বাল্যবিবাহের আয়োজনের খবর পেয়ে ইউএনও মো. মুনতাসির হাসান সেলবরষ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আতিকুল ইসলামকে খোঁজ নিয়ে তা বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। পরে স্থানীয় দুই ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে ওই ইউপি সদস্য কনের বাড়িতে গিয়ে কনের বাবা ও তাঁর স্বজনদের বাল্যবিবাহের কুফল, রাষ্ট্রীয় আইন সম্পর্কে অবহিত করে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করেন।

ইউএনও মো. মুনতাসির হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহ একটি অপরাধ। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ওই ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। ওই ছাত্রীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কোথাও বিয়ে দেবেন না বলে মৌখিকভাবে তার অভিভাবকেরা অঙ্গীকার করেছেন। উপজেলা প্রশাসন সব সময় বাল্যবিবাহ বন্ধে তৎপর রয়েছে।