দ্বিগুণের বেশি ভোটে সেই বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়

ইউপি নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

চতুর্থ দফায় মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার আট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ছয়টিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে নানা কারণে আলোচিত শ্রীকোল নামে একটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে দ্বিগুণের বেশি ভোটে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের এক বিদ্রোহী প্রার্থী।

গতকাল রোববার হওয়া ভোটের বেসরকারিভাবে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, শ্রীকোল ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৪২৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নৌকা প্রতীকের কাজী তারিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ১৭৮ ভোট।

নৌকার এমন ভরাডুবির কারণ জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী তারিকুল ইসলাম আজ সোমবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কয়েকটি কারণে ফলাফল এমন হয়েছে। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা কয়েকটি ধারায় বিভক্ত। তাঁর মধ্যে যিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি বড় একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া বর্তমান চেয়ারম্যানের একটি পক্ষ রয়েছে। এই নির্বাচনে জেলার নেতারা সহযোগিতা করলেও বর্তমান চেয়ারম্যানের পক্ষের লোকজন প্রতিহিংসামূলকভাবে নৌকার বিরোধিতা করেছেন। এর সঙ্গে বিএনপির ভোটগুলোও প্রতিপক্ষের পক্ষে গেছে।’

উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি। ২০১১ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো শ্রীকোল ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন তিনি। তাঁর বাবা শ্রীপুর আঞ্চলিক বাহিনীর অধিনায়ক। তাঁর বাবা এই ইউনিয়নে ২৪ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচনের প্রচারের সময় মাগুরা–১ আসনের সাংসদ সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আলোচনার জন্ম দেন এই প্রার্থী। এ ছাড়া আগে থেকে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার লড়াইয়ের কারণে এই ইউনিয়নের ফলাফলের দিকে সবার নজর ছিল।

শ্রীপুরে অন্য ইউনিয়নগুলোর মধ্যে কাদিরপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এক সাংবাদিক। আইয়ুব হোসেন খান নামে ওই সাংবাদিক জাতীয় একটি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্য ছয়টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। তাঁরা হলেন গয়েশপুরে হালিম মোল্যা, আমলসারে সেবানন্দ বিশ্বাস, শ্রীপুর সদরে মো. মসিয়ার রহমান, দ্বারিয়াপুরে আবদুস সবুর, সব্দালপুরে পান্না খাতুন ও নাকোলে হুমাউনুর রশিদ মুহিত।