দুই র্যাব সদস্যের বিরুদ্ধে বাসচালককে মারধরের অভিযোগ
জামালপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় র্যাবের গাড়ি যাওয়ার জায়গা করে দিতে বিলম্বের জেরে বাসের এক চালক ও সহযোগীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে র্যাবের দুই সদস্যের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন পরিবহনশ্রমিকেরা। এতে ইফতারের আগমুহূর্তে জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের বাসস্ট্যান্ডের সামনে জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আড়াআড়ি করে বাস রেখে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। সড়কে শতাধিক পরিবহনশ্রমিক অবস্থান নিয়েছেন। সড়কের দুই পাশে ট্রাকসহ বিভিন্ন যাত্রীবাহী যান আটকা পড়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটুস লরেন্স চিরানও রয়েছেন। তাঁরা বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা সন্ধ্যা ছয়টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
পরিবহনশ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, বিকেল পাঁচটার দিকে বাসট্যান্ড থেকে একটি বাস নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাওয়ার জন্য সড়কে ওঠান চালক সজিব মিয়া। এ সময় র্যাবের একটি গাড়িকে ওই বাস জায়গা করে দিতে দেরি করে। পরে দুজন র্যাব সদস্য ওই বাসে উঠে চালক সজিব, শ্রমিক জালাল মিয়া ও অন্য আরেক গাড়ির চালক মানিক মিয়াকে মারধর করে চলে যান। এতে পরিবহনশ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হন। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশসহ প্রশাসনের লোকজন ছুটে যান।
চালক মানিক মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, বাসস্ট্যান্ডের সামনে প্রায় সময় যানজট থাকে। বাসটি সড়কে ওঠে। এ সময় র্যাবের গাড়িটি যানজটে আটকা পড়ে। হঠাৎ দুজন সিভিল র্যাব সদস্য ওই বাসটিতে উঠে চালককে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। তিনি আটকাতে গেলে, তাঁকেও পেঠানো হয়। এ ঘটনার বিচার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিবহনশ্রমিকেরা।
জামালপুর সদরের ইউএনও লিটুস লরেন্স চিরান প্রথম আলোকে বলেন, গাড়ির সাইড দেওয়া নিয়ে নাকি দুজন র্যাব সদস্য চালককে মারধর করেছেন। এর প্রতিবাদে শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে শ্রমিক পরিবহনের নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারাবিহ নামাজের পর উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে সঠিক সমাধান করা হবে। আজকের মতো শ্রমিকেরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
জামালপুর র্যাব-১৪ কোম্পানি কমান্ডার আশিক উজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টির আরও খোঁজখবর নিয়ে প্রতিবেদন করেন। পরে তাঁর একটি ফোনকল আসছে বলে ফোনটি রেখে দেন।