নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই সদস্য প্রার্থীর দুজন প্রস্তাবকারী ও একজন সমর্থনকারীকে দুর্বৃত্তরা ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার দুই প্রার্থী জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে এ বিষয়ে পৃথক অভিযোগ করেছেন।
হরণী ইউনিয়নের ২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী দ্বীন ইসলাম অভিযোগ করেন, আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হরণী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে ১৭ মে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরপর গতকাল তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী একই এলাকার মো. মেহরাজের লোকজন তাঁর (দ্বীন ইসলাম) মনোনয়নপত্রের নাম প্রস্তাবকারী আলাউদ্দিনকে বাড়ি থেকে ডেকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। এরপর তিনি এবং আলাউদ্দিনের আত্মীয়স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি। এ বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
অভিযোগের বিষয়ে মো. মেহরাজ প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দ্বীন ইসলামের প্রস্তাবকারীর (আলাউদ্দিন) সঙ্গে গতকাল দুপুরে দেখা হওয়ার পর স্থানীয় একটি দোকানে বসে একসঙ্গে চা পান করেছেন তিনি। তখন আলাউদ্দিন তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁর নাম প্রস্তাবকারী হিসেবে দেওয়া হয়েছে, এটা তিনিও জানেন না।
হরণী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী শাহেনা আক্তার অভিযোগ করেন, তাঁর বিজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুর রহমানের লোকজন তাঁর নাম প্রস্তাবকারী আলেয়া বেগম ও সমর্থনকারী আবদুল করিমকে গতকাল দুপুরের দিকে বাড়ি থেকে ধরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। ঘটনাটি জানার পর তিনি তাৎক্ষণিকভাবে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাঁর পরাজয় নিশ্চিত জেনে এসব সাজানো অভিযোগ করছেন।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রার্থীর নাম প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা ফোনে তাঁকে দুই প্রার্থী জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, হরণী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দুই প্রার্থীর নাম প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। অভিযোগকারী ব্যক্তিদের তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।